কতক্ষণ দাঁড়িয়ে আছি! খেলতে যাবো যে!
দেখছিস না পুজো হচ্ছে! এখন খেলতে নেই।
সে তো হয়েই চলেছে! থামবে না সহজে,
তবে আমি খেলবো কখন?
এই দাঁড়ানোটাকেই খেলা ধর না বাপধন!
ধ্যাৎ ! এই স্ট্যাচু স্ট্যাচু খেলাটা পচা। গুলতি কই? ফল পাড়বো গাছ থেকে!
ওফফফফ! এই ছেলেটা না! এত দুরন্ত হলে যুঝবে কে!
কেউ না! সবাই তো জানে আমি কত্ত বড় বীর!
ওই দেখো! ওরে তুই তো এখন শিশু, সে সব তো কথা আগামীর!
ওহ! তবে কেন দিয়েছো এই বড়দের তির ধনুক ?
বলোনি তো বাখারি বাঁকিয়ে সুতো বেঁধে খেলুক!
ও তুই বুঝবি না! ওটা বড়দের ইচ্ছেতে!
হুঃ! আমার ইচ্ছা আর পাত্তা দিচ্ছে কে!
বাচ্চা ভেবে কেউ জিগেসই করছে না!
আরে তোর পছন্দ ওদের খুব চেনা!
কত সাজপোশাক গয়না বানানো হয়েছে , জানিস!
সব ভীষণ ভারী আর দামী।
বাচ্চারা কী চায় বড়দের কোনোদিন থাকে না হদিশ।
আচ্ছা! কী চাস শুনি!
খেলার সাথী। একটা কাউকে এনে দাও এক্ষুণি!
ওরে ছেলে! এইটুকু বয়েসে সখ কত!
বাল্যবিবাহ হয় না রে আর,
খেয়েদেয়ে কাজ নেই যেন সেই মৈথিলী বালিকা’র।
সে এখন থাকবে তার জনকের কাছে!
তবে যে আমার নামে যত কাণ্ড আছে,
সবই তার নাম-জোড়া?
পাকা পাকা কথা আর বলিস না ছোঁড়া,
রাজার আদেশ,
এ তোর একার ঘর!
বয়েস যে তোর মোটে পাঁচ বছর!
আচ্ছা! শিশু বলে বউ দেবে না আজ!
কিন্তু ওই পুজোর ঘটা , পোশাক ও সাজ,
ছাড়াও কিছু চাহিদা তো থাকে শিশুর।
নজর সেদিক দেবেন কবে তোমার মহারাজ?
ওই দেখো! ঠোঁট ফুলিয়ে কাঁদিস কেন বাছা?
করবি কী আর, রাজা যেমন চান সেরকম বাঁচা,
সাথী তোকে দিতে পারবো না!
তা নাই দিলে।
একলা আমায় দাঁড় করালে,
খেলতে যেতেও দিচ্ছো বেঁধে পা।
কিন্তু আমি শিশুই তো এক।
নিদেন পক্ষে দাওনি কেন ‘মা’?