আমাকে ন্যাংটো করো, রাষ্ট্র মহান,
ছিনিয়ে নাও শেষ আবরণটুকু অপুষ্ট ইজ্জত থেকে,
কেড়ে নাও পরিচয়, জন্ম ইস্তক জেনে আসা অবস্থান,
দরকার নেই এই নাগরিক সুতোটুক আর গায়ে রেখে।
রোজ ভোর হলে যাকে আয়নায় দেখি
(দামী কারুকাজ নয়, ভাঙাচোরা তোবড়ানো ফুটিফাটা সেও)
তুমি ঠিক মেপে রাখো শতাংশে কতটা সে নাগরিক মেকি,
কতটা হাড্ডি কমে তবে এ কাবাব হবে জিভে উপাদেয়।
পৃথুল মাংস আর তুলতুলে মেদে,
যারা আছে ,তারা খুব সুখে মোটা হতে থাক বিবিধ খোঁয়াড়ে,
তাদেরই কাউকে বলো ব্যাটার ল্যাঙট কেড়ে ন্যাংটো করে দে,
তারপরে দেখা যাবে কোন সার জলে ওর শিরদাঁড়া বাড়ে।
নগ্ন বা উলঙ্গ নয়, ন্যাংটোই বোলো,
শালীনতা ঘোমটাটি বহুকাল উঠে গেছে এ খ্যামটানাচে,
তাছাড়া পেষাই যারা, অনাবিল কথ্যকে তারা বোঝে ভালো,
শ্লীলতা পেরিয়ে আজ রাস্তায় নেমে দেখি ন্যাংটো মানুষ কত আনাচে কানাচে।
তারপর, দাঁড়াবো সে মিছিলের শেষ লোক হয়ে।
সামনে অগণিত ন্যাংটো মানুষ, বাঁচে আর মরে যায় যারা মিছিমিছি,
তাদের না বলা কথা লেখনিতে পাক ভাষা নয়া পরিচয়ে,
আঁধারের অবরোধে কলম বলুক গিয়ে , পথ খুঁজি চলো দোস্ত, মশাল এনেছি!
আর কিছু নাই হই, ন্যাংটো এ শিরদাঁড়া বজ্র বানাতে দিয়ে হবো দধীচি