‘দেখলি মালদার ব্যাপারটা ? ‘হ্যাঁ রে! এখনো গায়ে দিচ্ছে কাঁটা, মণিপুরের পর পরই!
কাকে ছেড়ে কাকে ধরি, ভাব, আমাদের রাজ্যেই!
আইন তো কেউ আনছেই না গ্রাহ্যে, কোন কন্ট্রোলই নেই!’
‘দেখলি মানে তুই খবর শুনলি না পেয়েছিস ভিডিও?’
‘শুধুই খবর রে! মনাদার কাছে আছে, বললাম সেন্ড করে দিও,
করেনি এখনো।
বলে কিনা এটা যেন না দেখে দেশে একজনও।’
‘মানে! সব্বাই তো দেখেছে! বিল্টু , তমাল, আসিফ, অসীম..
তোর ওই মনাদাটা জানে ঘোড়ার ডিম!
আমার কাছে আছে, ফরওয়ার্ড করছি , দেখে নে!’
‘আরে দে দে! আসল ব্যাপার সব নিতে হবে জেনে!
এই তো ডাউনলোড হয়ে গেছে। থ্যাংক ইউ রে!’
‘থ্যাংকসএর আছেটা কি! যা দেখে দেশ গোটা দেশ উঠছে শিউরে,
সেটা তো না দেখলে নয়!
দেখতে হয়, নইলে পিছিয়ে পড়তে হয়।’
‘অ্যাই অ্যাই, একি!
আসল জায়গাগুলো সব ঝাপসা দিয়েছে করে দেখি!
‘আসল জায়গা? মানে কোন জায়গা রে?’
‘তুমি জানো গুরু, ওই মেয়েগুলো যেখানে ইয়ে একেবারে!
ধুত্তোর, এ তো একেবারে নিরামিষ!’
মহাকাব্যের থেকে পাঞ্চালী দেখছেন চেয়ে,
গোটা এক দেশময় ছড়িয়ে গিয়েছে আদিম রিপুর বিষ,
যারা ছিলো মণিপুর-মালদায়,
আর যারা ভিডিওতে ‘ আসল জায়গা’ দেখতে চায়,
আসলে একই ভিড়, কামুক দর্শকামী কোটি কোটি মন..
দ্রৌপদী বুঝছেন, চলছে ও চলবেই বস্ত্রহরণ,
এক নয়, এক হাজার নয়,
মুঠোফোন হাতে ঘোরে কোটি দুঃশাসন ।
বাসুদেবও বিষণ্ণ আজ। তাঁর হাতে নেই এত দীর্ঘ বসন।