বৈচিত্র্য ও বৈষম্যের বিশ্বে এটিও একটি পরিহাস। এশিয়া, আফ্রিকা, লাতিন আমেরিকার অসংখ্য দরিদ্র পরিবারে ‘মা ষষ্ঠীর’ কৃপায় বছরের পর বছর সন্তান জন্মায়। অন্যদিকে অনেক ধনী বা অতি ধনী পরিবার বছরের পর বছর সন্তান আকাঙ্ক্ষায় হা পিত্যেশ করেন। ঐ ধনী ও অতি ধনী পরিবারগুলি বছরের পর বছর চিকিৎসা থেকে ধর্মাচারণ, তুকতাক, মানত নানা কিছুর মাধ্যমে লক্ষ লক্ষ কোটি কোটি টাকা খরচ করেন। অনাথ বা অপরের কোন সন্তান কে গ্রহণ ও প্রতিপালন (Adoption) একটি বিকল্প হলেও অনেকের মনঃপুত নয়। তারা চান নিজেদের শুক্রাণু (Sperm) বা ডিম্বাণু (Ovum) নিষিক্ত (Fertilized) সন্তান (Biological Clone)। চাহিদা থাকলে বাজার তা সরবরাহ করে মুনাফা করার চেষ্টা করবে। সেই কারণেই পুঁজিবাদী ব্যাবস্থার শিরোমণি ধনী মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে এই বিষয়ে গবেষণা ও প্রচেষ্টা সবচাইতে বেশি চোখে পড়ে।
১৯৩৬ এ একটি মার্কিন বহুজাতিক ওষুধ প্রস্তুত সংস্থা স্ত্রী হরমোন ইস্ট্রজেন (Estrogen) তৈরি করল। ১৯৪৪ এ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে নারীদেহের জরায়ুর (Uterus) বাইরে গবেষণাগারে পুরুষের শুক্রাণু ও নারীর ডিম্বাণুকে নিষিক্ত করা (Fertilization) গেল। ১৯৫৩ তে সেখানে শুক্রাণুকে অতি শীতল অবস্থায় সংরক্ষণ করার (Cryopreservation) পদ্ধতি আবিষ্কার হল। ১৯৭৬ এ সেখানেই গর্ভদান সংক্রান্ত চুক্তিপত্র (Surrogacy Contract) রচিত হল। ১৯৭৮ এ ইংল্যান্ড এ গবেষণাগারে নিষিক্ত পদ্ধতিতে (In vitro Fertilization বা IVF) প্রথম ‘টেস্ট টিউব শিশু’ র জন্ম হল। ১৯৭৮ এ ভারতে ডাঃ সুভাষ মুখোপাধ্যায় সফল হলেন। ১৯৮৫ – ’৮৬ থেকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে আইনি চুক্তিপত্র করে গর্ভদানের (Surrogacy) মাধ্যমে সন্তান জন্মের শুরু।
এই গর্ভদানের পদ্ধতিতে মানসিক ও সামাজিক সমস্যা এবং আইনি জটিলতা থাকলেও ক্রমশ, বিশেষ করে ব্যস্ত, নিজ শরীর সচেতন, ধনী ও পেশাজীবীদের মধ্যে এটি জনপ্রিয়তা পেয়ে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র সহ পাশ্চাত্যের ধনী দেশগুলিতে এবং অন্যত্র ছড়িয়ে পরল। আর এটিকে ঘিরে এক শ্রেণীর চিকিৎসক, ক্লিনিকস মালিক এবং দালালদের ব্যাবসা রমরমিয়ে বেড়ে চলল। জন্মদানের এই পদ্ধতির সাফল্যের ফলে বিশ্বের অন্যান্য দেশের অনেক পরিবারের মত আমাদের দেশেরও অনেক পরিবার সন্তানের মুখ দেখলেন। পাশাপাশি Fertility Clinics গুলির নতুন আরেকটি আয়ের রাস্তা খুলে গেল।
বজ্র আঁটুনি ফস্কা গেরোঃ আমাদের দেশের বিশাল সংবিধান ও সুবিস্তৃত আইনে সমস্ত কিছুর সংস্থান থাকলেও তাদের মানার দায় সরকার থেকে নাগরিক কারও নেই। তাই পতিতাবৃত্তি নিষিদ্ধ হলেও সারা দেশে রমরমিয়ে চলে। মুম্বাইকে কেন্দ্র করে পশ্চিম, দক্ষিণ ও উত্তর ভারতের বড় শহর গুলি একেকটি আন্তর্জাতিক চিকিৎসা পর্যটনের পাশাপাশি যৌন পর্যটনের স্বর্গ। মাদক, নারী, শিশু, অঙ্গ প্রভৃতি পাচার নিষিদ্ধ হলেও ব্যাপকভাবে চলছে। সেরকম গর্ভাবস্থায় ভ্রূণের লিঙ্গ নির্ধারণ ও ভ্রূণ হত্যা নিষিদ্ধ হলেও, বিশেষ করে কন্যা ভ্রূণ হত্যা, অনেক ক্লিনিকস, নার্সিং হোম এবং ইনভেস্টিগেশন সেন্টার এই ব্যাবসা করেই মুনাফার পাহাড় করে ফেলেছে। যত্রতত্র ব্যাঙের ছাতার মত গজিয়ে উঠেছে ফারটিলিটি ক্লিনিকস গুলি।
এরপর এদের সাথে যুক্ত হল গর্ভদানের (গর্ভ ভাড়া শব্দটি শুনতে ভাল না লাগলেও বেশি সঠিক) মাধ্যমে সন্তান জন্মানো নিয়ে লাভজনক ব্যাবসা। আইনের ফাঁক দিয়ে, দুর্নীতিগ্রস্ত রাজনৈতিক নেতা, প্রশাসন ও পুলিশদের সহযোগিতায়, অভাবী মহিলাদের কাজে লাগিয়ে, আত্মীয়া সাজিয়ে, এই লাভজনক ব্যাবসা চলতে থাকে। বিভিন্ন সুত্রে জানা যায় ১৫ থেকে ৫০ লক্ষ টাকা, কোথায় বা তার চাইতে বেশি অর্থ লাগে Surrogacy এর মাধ্যমে একেকটি সন্তান জন্মের ক্ষেত্রে। ভারতীয় মুদ্রায় এই বিপুল খরচ আবার অনেক ধনী দেশের চাইতে অনেক কম। তাই অনেক বিদেশী এই উদ্দেশ্যে ভারতে আসেন।
একুশে আইনঃ Surrogacy নিয়ে নানারকম অপ্রীতিকর পরিস্থিতি, মামলা মোকদ্দমা ও অভিযোগ ওঠায় সরকার বাহাদুর নড়ে চড়ে বসেন। পাশ হল Surrogacy (Regulation) Act 2021। যার মাধ্যমে বাণিজ্যিক গর্ভদান (Commercial Surrogacy), ভারতে বিদেশী নাগরিকদের Surrogacy র মাধ্যমে সন্তানলাভ ইত্যাদি নিষিদ্ধ হল। এই আইনে বলা হল যে কোন বিধবা (Widow) বা বিবাহ বিচ্ছিন্না (Divorcee) ৩৫ থেকে ৪৫ বছর বয়সী নারী অথবা কোন বিবাহিত দম্পতি (Married Couple) যাদের শারীরিক অক্ষমতা বা অসুস্থতার কারণে (Medical Conditions) সন্তান জন্ম ও ধারণ সম্ভব নয় তারাই কেবল এর আওতাভুক্ত হতে পারবেন। তাদের প্রথমে জেলা মেডিকেল বোর্ড থেকে (১) Certificate of Medical Indication, তারপর আদালতের প্রথম শ্রেণীর বিচারকের কাছ থেকে (২) Certificate of Essentiality জোগাড় করতে হবে। তারপর কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে জোগাড় করতে হবে (৩) Certificate of Eligibility। এরপর জাতীয় মেডিকেল বোর্ডের কাছে আবেদন করতে হবে (৪) Certificate of Recommendation এর জন্য। সেটি পেলে তবেই প্রক্রিয়াটি শুরু করা যাবে। তারপর রয়েছে চিকিৎসা, বীমা ইত্যাদি আনুসঙ্গিক বিষয়। এগুলি যে কত কঠিন, পরিশ্রমের ও সময়সাপেক্ষ ভুক্তভোগী ব্যাক্তিরা জানেন।
গর্ভদান সম্পর্কে প্রাথমিক কিছু কথাবার্তাঃ গর্ভদান (Surrogacy) এমন এক ব্যাবস্থা ও সংশ্লিষ্ট চুক্তিপত্র যেখানে এক নির্বাচিত নারী স্বেচ্ছায় অন্য কোন ইচ্ছুক একাকী নারীর (Single Woman) অথবা দম্পতির (Intended Couple) ভ্রূণ গর্ভে ধারণ করে সন্তানের জন্ম দেন এবং সেই সন্তানের পিতামাতা (Parent / Parents) হন ঐ ইচ্ছুক নারী অথবা ইচ্ছুক দম্পতি। পরবর্তীকালে একাকী পুরুষ (Single Man) এবং সমকামী দম্পতি (Same Sex Couple) উপভোক্তা (Beneficiary) হিসেবে অন্তর্ভুক্ত হন। যে নারী গর্ভ দান করেন তাকে গর্ভদাত্রী (Surrogate Mother) বলা হয়।
সুতরাং আইনিভাবে অপরের গর্ভদানের মাধ্যমে সন্তানের জন্ম দিতে পারবেনঃ
(১) ইচ্ছুক একাকী নারী অথবা দম্পতি যারা নিজেরা সন্তান ধারণে সক্ষম নন।
(২) উপরোক্তদের সন্তান ধারণের ক্ষেত্রে গুরুতর শারীরিক ঝুঁকি থেকে থাকলে।
(৩) ইচ্ছুক একাকী পুরুষ।
(৪) ইচ্ছুক সমকামী দম্পতি।
ভারতীয় আইন অনুযায়ী বাণিজ্যিক গর্ভদান (Commercial Surrogacy) নিষিদ্ধ। কেবল কল্যাণময় গর্ভদান (Altruistic Surrogacy) বিধিবদ্ধ। বিদেশী নাগরিকদের ভারতে গর্ভদানের মাধ্যমে সন্তান অর্জন নিষিদ্ধ। তবে ভারতীয় বংশোদ্ভূত (Persons of Indian Origin) বিদেশে বসবাসকারীদের ক্ষেত্রে পরে নিয়ম শিথিল করা হয়। গর্ভদানের মাধ্যমে সন্তান জন্মের প্রথমদিন থেকেই সন্তানের মাতৃত্বের অধিকার নিয়ে গর্ভদাত্রী মা ও ভ্রূণদাত্রী মায়ের দ্বন্দ্ব যা অনেকক্ষেত্রে আদালত অবধি গড়িয়েছে। এছাড়াও আনুসঙ্গিক অন্যান্য বিষয়গুলি নিয়ে এবং এই পদ্ধতিতে জন্মের কারণে নানারকম মানসিক, পারিবারিক, সামাজিক, সাংস্কৃতিক, নৈতিক এবং আইনি সমস্যা রয়ে গেছে। গর্ভদান নিয়ে একেক দেশের আইন একেক রকম। অনেক দেশেই সামাজিকভাবে গ্রহণযোগ্য নয় এবং আইনত নিষিদ্ধ। ফলে অনেক নিঃসন্তান দম্পতি অন্য দেশে গিয়ে গর্ভদানের মাধ্যমে সন্তান লাভের চেষ্টা করেন।
গর্ভদান দু রকমের হয়। প্রচলিত গর্ভদান (Traditional Surrogacy) এবং গর্ভধারণ গর্ভদান (Gestational Surrogacy)। প্রচলিত গর্ভদান আবার দুভাবে হতে পারে – ইচ্ছুক পিতা বা দাতার সাথে যৌন মিলনের (Natural Insemination) মাধ্যমে অথবা তাদের শুক্রাণু প্রতিস্থাপনের (Artificial Insemination) মাধ্যমে। প্রথমটি ‘নিয়োগ প্রথা’ হিসেবে সমাজে প্রচলিত ছিল। বিভিন্ন আচার অনুষ্ঠানে মর্ত্যলোকে ঈশ্বরের প্রতিনিধি ব্রাহ্মণ পুরোহিত, নৃপতি, ভুস্বামী, সেনাপতিদের স্বর্ণ, বিবিধ উপহার, গোধন ইত্যাদির সাথে স্ত্রীধন দেওয়ার প্রচলন ছিল। আবার পুত্র সন্তান না হলে অথবা সুপুত্র সন্তানের আশায় ব্রাহ্মণ পুরোহিতদের দিয়ে পত্নীদের উপগত করা হত। কোন কোন ঐতিহাসিকের মতে পুরুষ উত্তরাধিকারী না থাকার অজুহাতে আগ্রাসী ব্রিটিশ ঔপনিবেশিকেরা অওধের নবাব আসাফ –উ – দৌল্লাহ র রাজ্য কেড়ে নিতে চায়। পুরুষ সন্তানের জন্ম দিতে অক্ষম নবাব তখন অপরের উপগত পুরুষ উত্তরাধিকারী দেখিয়ে মসনদ রক্ষা করেন। এইগুলি মুলত অতীতের ঘটনা আর এই বিষয়গুলি অনেকটাই সমাজে পারিবারিক সম্মতিতে লোক চক্ষুর অন্তরালে ঘটে যেত। ফলে এগুলি নিয়ে তত সমস্যা হয়নি। তাছাড়া প্রমাণ করার প্রযুক্তিও ছিলনা। আধুনিক সমাজে যেটা হতে পারেঃ (১) গর্ভদাত্রীর ডিম্বাণুর সাথে ইচ্ছুক পিতার শুক্রাণুর নিষিক্তকরণ অথবা (২) গর্ভদাত্রীর ডিম্বাণুর সাথে দাতার শুক্রাণুর নিষিক্তকরণ।
Gestational Surrogacy র ক্ষেত্রে যে সম্ভবনাগুলি হতে পারেঃ
(১) ইচ্ছুক পিতার (Intended Father) শুক্রাণুর সাথে ইচ্ছুক মাতার (Intended Mother) ডিম্বাণুর গবেষণাগারে নিষিক্তকরণ (IVF) এবং গর্ভদাত্রীর (Surrogate Mother) জরায়ুতে প্রতিস্থাপন (Implantation)।
(২) ইচ্ছুক পিতার শুক্রাণুর সাথে নারী দাতার (Female Donor) ডিম্বাণুর গবেষণাগারে নিষিক্তকরণ এবং গর্ভদাত্রীর জরায়ুতে প্রতিস্থাপন।
(৩) ইচ্ছুক মাতার ডিম্বাণুর সাথে পুরুষ দাতার (Male Donor) শুক্রাণুর গবেষণাগারে নিষিক্তকরণ এবং গর্ভদাত্রীর জরায়ুতে প্রতিস্থাপন।
একুশে আইনের পরিবর্তনঃ Surrogacy (Regulation) Act 2021 এ কারা কল্যাণময় গর্ভদানের (Altrustic Surrogacy) সুযোগ পাবে নির্ধারিত হয়েছিল। তারা হলেন (ক) ৩৫ থেকে ৪৫ বছর বয়সী কোন ইচ্ছুক বিধবা (Widow) বা বিবাহবিচ্ছিন্না নারী (Divorcee) অথবা (খ) ইচ্ছুক বিবাহিত দম্পতি (Intended Married Couple) যাদের পক্ষে শারীরিক অক্ষমতা বা অসুস্থতার কারণে কোনভাবেই সন্তান জন্ম দেওয়া সম্ভব নয় কিংবা (গ) ইচ্ছুক বিবাহিত দম্পতি যাদের একটি মানসিক প্রতিবন্দ্বী (Mentally Retarded) সন্তান রয়েছে এবং যাদের পক্ষে শারীরিক অক্ষমতা বা অসুস্থতার কারণে আর কোনভাবেই সন্তান জন্ম দেওয়া সম্ভব নয়।
গর্ভদাত্রীর (Surrogate Mother) সংজ্ঞা ছিলঃ ২৫ থেকে ৩৫ বর্ষীয় কখনও বিবাহিত ও সন্তানের জন্ম দেওয়া নারী যে নিজের জনন কোষ (Gametes) দান করতে পারবেন না। তার জীবদ্দশায় একবারের বেশি গর্ভদাত্রী হতে পারবেন না। তার জরায়ুতে সর্বোচ্চ তিনবার ভ্রূণ প্রতিস্থাপনের চেষ্টা করা যাবে।
শারীরিক অসঙ্গতির ক্ষেত্রে জরায়ুর অনুপস্থিতি বা অস্বাভাবিকতা (Abnormal Uterus), বারবার IVF এর ক্ষেত্রে ব্যর্থতা, Intra-cytoplasmic Sperm Injection এর ক্ষেত্রে ব্যর্থতা, বারবার ভ্রূণ স্থাপনের ব্যর্থতা (Recurrent Implantation Failure) ছাড়াও এমন অসুস্থতার কথা বলা হয়েছে যার কারণে সন্তানের জন্মদান ও ধারণ সম্ভব নয় অথবা সন্তান ধারণ জীবনদায়ী সঙ্কট হয়ে দাঁড়াতে পারে।
বিভিন্ন আবেদন, আভিযোগ, মামলা ইত্যাদির পর কেন্দ্র সরকার ২০২২ এ একুশের আইন সংশোধন করে জানালেন যে ইচ্ছুক দম্পতিদের ক্ষেত্রে গর্ভধারণের গর্ভদানে (Gestational Surrogacy) দাতার ডিম্বাণু গ্রহণ করা যাবে না। পরে ২০২৩ এ একুশে আইন ও বাইশের সংশোধনী মিলিয়ে Surrogacy (Regulation) Rules 2023 প্রকাশিত হল। তাতে বলা হলঃ ইচ্ছুক মাতা – পিতার ডিম্বাণু – শুক্রাণু গ্রহণ করতে হবে। কোন দাতার জনন কোষ গ্রহণ করা যাবে না। আর একাকী ইচ্ছুক নারীদের (Widow and Divorcee) ক্ষেত্রে নিজ ডিম্বাণু ও দাতার শুক্রাণু গ্রহণ করতে হবে।
চব্বিশের পরিবর্তনঃ গর্ভদান নিয়ে বাদ – বিসম্বাদ, মামলা – মোকদ্দমা ইত্যাদি চলছিলই। এছাড়াও সরকার আর শীর্ষ আদালতের কাছে আসছিল প্রচুর আবেদন – নিবেদন। আর Private Fertility Clinics, Surrogacy Centres, Nursing Homes, Maternity Clinics, Corporate Hospitals গুলিরও চাপ ছিল সরকারের উপর। কেন্দ্র সরকারও এই বিষয়ে যথেষ্ট তৎপরতা দেখালেন। যার ফলে গর্ভদান সংক্রান্ত তেইশের আইনের আবারও সংশোধন পরিবর্তন হল। লোকসভা নির্বাচনের আগেই প্রকাশিত হল Surrogacy Amendment Rules 2024। সেখানে সুস্পষ্টভাবে বলা হল যে যদি ইচ্ছুক দম্পতিদের কারও একজনের শারীরিক অক্ষমতা বা অসুস্থতার কারণে সন্তানের জন্মদান দেওয়া সম্ভব না হয় সেক্ষেত্রে দাতার ডিম্বাণু বা শুক্রাণু গ্রহণ করা যাবে। মুখে হাসি ফুটলো বহু ইচ্ছুক নিঃসন্তান দম্পতির, হাসি ফুটলো Surrogacy Industry র। ‘ সব কো সাথ, সব কা বিকাশ’ ।
০১.০৩.২০২৪