রাম পারমিশন পাননি সতীদাহ বন্ধ করার।
ঠিক ভেবেছিলেন, তাই লড়েছিলেন।
জিতেছিলেন।
ঈশ্বর পারমিশন পাননি বিধবাদের বিয়ে দেওয়ার।
উচিৎ ভেবেছিলেন, তাই দাবি তুলেছিলেন।
সফল হয়েছিলেন ।
বিপ্লবের কেউ পারমিশন দেয় না।
লক্ষ লক্ষ মানুষ যখন মেয়ে হারানোর শোকে
বিচারকে পাখির চোখ মনে করে,
যারা সেই ভিড়ে নেই,
তাদের কাছে সে ভিড়ের আকাশ-কাঁপানো দাবির গর্জনের একটাই মানে দাঁড়ায়,
‘ সিংহাসনের বিরুদ্ধে জমায়েত’।
অপরাধ যার রাজত্বে ঘটে,
প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে দায় তো তাঁর থাকেই।
কাজেই শোক আগুন হলেই তাঁর প্রাসাদ জ্বলার ভয় করে,
জাস্টিস চাওয়ার সব মিছিল তাঁর কাছে
তাঁর আধিপত্য ধুলায় লুটিয়ে দেওয়ার মিশন,
এক অদ্ভুত সন্দেহের দূরবীন দিয়ে তখন তিনি ফুলে ওঠা ভিড়কে দেখেন,
আর প্রতিটি চেহারায় নজরে আসে
যেন গদি কেড়ে নেওয়া বিভীষণ।
তিনি ভয় পান। তিনি ভয় পান। তিনি ভয় পান ভীষণ।
তার ভয়ার্ত কণ্ঠ থেকে দুটো কথাই আদেশের ছদ্মবেশে
বেরিয়ে আসে।
‘নো পারমিশন।’