বামমনা যুবকটিকে শুরুতেই চৌত্রিশ বছর,
সাঁইবাড়ি আর বিজন সেতুর জবাবদিহি করতে হয়,
বি জে পি র দিকে ঝোঁকা মেয়েটিকে
বাবরি ভাঙা ও গুজরাট দাঙ্গা নিয়ে প্রশ্নের বিড়ম্বনা সইতে হবে
এখনো হাত চিহ্নে ভোট দেওয়া ছেলেটার ইমারজেন্সি থেকে শাহবানু,
তিনশো সত্তর থেকে বোফর্স, কিচ্ছুতে ছাড় নয়,
ঘাসফুল ভালোবাসা সদ্য একুশের মেয়েটিকে
কাটমানি আর লঘুতোষণের অভিযোগের দায় বইতে হবে।
এ এক অদ্ভুত দেশ,
যাত্রার শুরুতেই যুবসমাজের পায়ে বেঁধে দেওয়া হয় হাজার অতীতের কঙ্কাল,
তার আগামীর রাস্তার চারধারে ছড়িয়ে দেওয়া হয় অবিশ্বাস আর ধিক্কারের বিষ্ঠা,
প্রাক্তন অপরাধের নতুন আসামী হিসেবে ঘুরে ফিরে ধেয়ে আসে বিপক্ষ উকিলের সওয়াল,
প্রজন্মের পরে প্রজন্ম বিদ্ধ হয় অতীতের ক্রুশে, দশকের সাথে বাড়ে শুধু পেরেকের বিষটা।
আমরা বুড়োরা ভাবতে শিখিনি,
মার্ক্সবাদে বিশ্বাসী নব্যযুবার মাথায় থাকতে পারে কারখানার আধুনিকীকরণ,
জয় শ্রীরাম বলা মেয়েটি ধর্ম পেরিয়ে মানতে পারে বিজ্ঞানে আসবে দেশের আসল প্রগতি,
কমলের তীব্র বিরোধিতা করা কংগ্রেসী যুবকটির স্বপ্নতে স্বচ্ছন্দে
থাকে স্বচ্ছ দেশের স্বচ্ছতর প্রশাসন,
অথবা ঢপচপ বাদ দিয়ে নিয়মিত নিয়োগের ফুলপ্রুফ প্ল্যান করে মা মাটি মানুষে নিমগ্ন যুবতী।
বুড়োদের অতীতের বিষ বয়ে বয়ে, প্রতিটা প্রজন্ম কৈফিয়তের দায়ে স্বপ্ন খোয়ায়।
আমরা তো দেশটাকে এগোতে পারিনি। ব্যাটনের মতো সেই ব্যর্থতা বয়ে যাওয়া ওদেরও কি দায়?
এই প্রজন্মে অতীতের কালকূট গিলে ফেলে নীলকণ্ঠ হই চলো।
তবে যদি তরুণেরা অমৃত পায়।
এইভাবে যদি কিছু মানুষও ভাবতেন, তিক্ততা কমে যেতো, ভালোবাসতে শিখতাম সবাই l একমাত্র সমাধান এই অন্ধকার থেকে আলোয় যাওয়ার l