কারো সর্বনাশ। কারো পৌষ মাস। আজ প্রথম- জীবনে প্রথমবার এক মেডিকেল রিপ্রেজেন্টেটিভ ভদ্রলোক আমাকে অবাক করে দিলেন।
প্রচার পুস্তিকা খুলে তিনি সুগারের ওষুধ নয়, প্রেশারের ওষুধ নয়, এমনকি বাঙালির প্রিয় গ্যাসের ওষুধও নয়- শুরু করলেন যক্ষ্মা রোগের ওষুধের বর্ণনা। ফোন করলে তাঁরা বাড়ি গিয়ে পৌঁছে দেবেন, এমনকি ঠিক স্বাস্থ্য কর্মীদের মতো সামনে দাঁড়িয়ে খাইয়ে দিতেও তাঁদের আপত্তি নেই।
নির্দিষ্ট সময় অন্তর কখ পরীক্ষা- এক্সরের ব্যবস্থাও তাঁরা করে দেবেন। রোগীদের ডায়েট চার্টও তাঁরা করে দেবেন। তবে সব কিছুই অর্থের বিনিময়ে।
বললাম, কিন্তু টিবি রোগীরা সকলেই তো সরকারি ওষুধ খান। ওষুধ কয়েকমাস সর্ট সাপ্লাই আছে। তবে যে কোনো দিন সাপ্লাই চলে আসবে। তখন এতো ওষুধ নিয়ে আপনারা সমস্যায় পড়বেন।
উনি বললেন, আমরা তো কর্মচারী মাত্র। মালিকরা যখন ভেবেচিন্তে আমাদের এর প্রমোশনে নামিয়েছেন- তখন নিশ্চয়ই পেছনে কোনো কারণ আছে।
কী কারণ আমি ভেবেই চলেছি- ভেবেই চলেছি। ২০২৫ এ আমাদের দেশে টিবি এলিমিনেশন হওয়ার কথা। এক বছর আগেই কী খাতায় কলমে এলিমিনেশন হয়ে গেল? হয়তো হয়ে গেছে… আমরাই Zআনতি পারিনি। আমরা হলাম গিয়ে পিছিয়ে পড়া ডাক্তার।
তবে যাঁদের টিবি হয়- সেসব মানুষদের মানুষ না ভাবলে সহজেই এই লক্ষে পৌঁছানো সম্ভব। হ য ব র ল’র দেশে খেটে খাওয়া মানুষও যা- রুমালও তাই।