অবশেষে মুক্তি! উত্তরাখণ্ডে সিল্কিয়ারা টানেলে আটক একচল্লিশ জন আবার মুক্ত আবহাওয়ায় ১৭ দিন পর!! শেষ পর্বের নানা সংশয়কে উড়িয়ে দিয়ে অবশেষে অসম্ভবকে সম্ভব করলো rat hole miners স্রেফ ‘সিঁদ কাটা’র কিছু আধুনিক সংস্করণকে হাতিয়ার করে, অত্যন্ত দুরূহ এবং বিপজ্জনক অবস্থার মধ্যে। তাদের একজন সাংবাদিককে জানায় আটকে থাকা একচল্লিশ জনকে তো উদ্ধার করতেই হবে, কারণ তারাও তো শ্রমিক!
জীবনে এখন সত্যিকারের আনন্দ পাবার মতো ঘটনা কমই ঘটে বেশির ভাগই মন খারাপের! অনেকদিন পরে সেই নির্ভেজাল আনন্দের স্বাদ পেলাম।আজকে আর কেন এত দেরি হলো, উদ্ধারে যথেষ্ট সমন্বয়সাধন ছিল কিনা এসব প্রশ্ন করে লাভ নেই।
শুধু একটাই অনুরোধ! দয়া করে এই সব ভয়ঙ্কর প্রকল্পগুলো বন্ধ করুন। এমনিতেই হিমালয়ের এই অঞ্চল যথেষ্ট বিপজ্জনক অবস্থায় রয়েছে। ট্যুরিস্ট পুণ্যার্থী আর হোটেল ব্যবসায়ীদের সুবিধা করে দিতে ‘দেবভূমি’-কেই ধ্বংস করার পথে দয়া করে নিয়ে যাবেন না।
ঠিক পাঁচ বছর আগে প্রফেসর জি.ডি. আগরয়াল (স্বামী জ্ঞান স্বরূপ সানন্দ) গঙ্গা নদী ও উত্তরাখণ্ডের সংলগ্ন অঞ্চলে পরিবেশ রক্ষার দাবিতে ১১২ দিন অনশনে প্রাণত্যাগ করেন। উনি বর্তমান প্রধানমন্ত্রীকে তিনটি চিঠি দেন, অনশনের আগে ও অনশনের সময়ে। প্রথম দুটি চিঠিতে ‘younger brother’ বলে সম্বোধন করলেও শেষ চিঠিতে ‘Respected Prime Minister’ বলেই আরম্ভ করেন। চিঠিতে জানান এর আগেও তিনি একাধিকবার অনশন করেন। তাঁর দাবি মেনে নিয়ে পূর্বতন প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিং কয়েক হাজার কোটি টাকায় তৈরি প্রায় শতকরা নব্বই ভাগ সম্পন্ন হয়ে যাওয়া লোহারি নাগপাল বৈদ্যুতিক প্রকল্প বন্ধ করে দেন।
না, জীবিতকালে প্রফেসর আগরয়াল কোনও উত্তর পাননি। উনি মারা যাওযার পরে অবশ্য প্রধানমন্ত্রী শোকবার্তা জানান।
শুধু সিল্কিয়ারা টানেল নয়, বারে বারে বিপর্যয় ঘটেছে এই অঞ্চলে ইদানীংকালে।
বারংবার প্রায় এই নিয়মিত বিপর্যয়ের পর এই দাবিটা কি খুব অসঙ্গত হবে যে, প্লীজ এবার বন্ধ করুন ‘চারধাম প্রকল্প’ সমেত সমস্ত পরিবেশ ধ্বংসকারী কার্যকলাপকে, বন্ধ করুন ‘দেবভূমি’কে পুরোদস্তুর ‘ট্যুরিস্ট ভূমি’ ও ‘করপোরেট লুঠ ভূমি’ তে রূপান্তরিত করার সমস্ত চেষ্টা(বা, অপচেষ্টা)কে……………