৪/৪/২০২২
যাত্রার প্রথম অংশটা আগের দিনের মতোই। শিলংয়ের মধ্য দিয়ে। রফিকদাকে আগেই বলে রেখেছিলাম কোনও চা বাগানের সামনে গাড়ি দাঁড় করাতে। আগে কখনো চা গাছ দেখিনি। পাহাড়ের ঢালে গাঢ় সবুজ চায়ের বাগান। স্থানীয় মানুষেরা একটি কুঁড়ি দুটি পাতা তুলে পিঠের বেতের ঝুড়িতে রাখছেন। গাছগুলোর মাথা সমানভাবে ছাঁটা। সেই কতদিন আগের পড়া ভূগোল বইয়ের পাতা চোখের সামনে ভেসে উঠছে। চা গাছের ফাঁকে ফাঁকে কিছু কিছু স্ট্রবেরি গাছও আছে। আমি চিনতাম না। ঋতায়ণ চিনিয়ে দিলো। আমার মত একনিষ্ঠ চা-প্রেমিকের কাছে চায়ের আঁতুড়ঘর দেখা স্বপ্নের মতো ব্যাপারই বটে। বেশিক্ষণ দাঁড়াতে পারলাম না। বেআক্কেলে বৃষ্টিটা বারবার তাল কেটে দিচ্ছিলো।
পরবর্তী গন্তব্য এলিফ্যান্ট ফলস। মূল রাস্তা থেকে আধ কিলোমিটার মতো ডান দিকে বেঁকে যেতে হয়। রাস্তার দু-দিকে কিছুটা দূরত্ব ছাড়া ছাড়া রডোডেনড্রনের বাহার। একসাথে রডোডেনড্রন ফুটলে পাহাড়ে লাল আগুন জ্বলে। সুন্দর করে সাজানো রাস্তার দু’ধারে অযুত রঙের সমারোহ। পাশেই জলের গর্জন। এলিফ্যান্ট ফলস এই জলপ্রপাতের আসল নাম ছিল না। মেঘালয়ের ভাষায় এর নাম তিন ধাপের জলপ্রপাত। জল ওপর থেকে তিনটি সিঁড়ির মতো ধাপে নিচে নেমে এসেছে। জলপ্রপাতের বামদিকে হাতির মতো দেখতে একটি পাথর ছিল। সেই থেকে ব্রিটিশরা এর নাম করে এলিফ্যান্ট ফলস। ১৮৯৭ সালের ভূমিকম্পে পাথরটি ভেঙে যায়। নদীর জল সুউচ্চ পাহাড়ের উপর থেকে তিনটি ধাপে নিচে নেমে এসেছে। প্রথম ধাপে পাহাড়ের গা বেয়ে জল ঝরে পড়ছে। যত নিচে নামা যায় ধাপ তত খাড়াই হয়। জল লাফিয়ে নিচে পড়ে। দুগ্ধফেননিভ জল। পাশে রডোডেনড্রনের আগুন। লাল পাড় সাদা শাড়ির পাহাড়ি সুন্দরীর অমোঘ আকর্ষণ মাতাল করে তোলে। এক হাতে ছাতা, অন্য হাতে আরশিকে কোলে নিয়ে দ্বিতীয় ধাপ অব্দি নামতে পেরেছিলাম। তৃতীয় ধাপ দূর থেকেই দেখে সন্তুষ্ট হতে হয়েছে। আরশিকে কোলে নিয়ে খাড়াই আর পিচ্ছিল সিঁড়ি ভাঙার সাহস হয়নি।
আজ আকাশ অন্যান্য দিনের থেকে অনেকটা পরিষ্কার। রাস্তায় কুয়াশার অন্ধকারটা অনেক কম। বহু দূর অব্দি ভালোভাবে দেখা যাচ্ছিল। যতদূর চোখ যায় পাহাড়ের সারি। নাম না জানা অসংখ্য ছোট ছোট জলপ্রপাত। অর্কিড, ফার্ন, পাইন, ফার তো আছেই। অন্যরকম বাঁশের ঝাড়ও চোখে পড়ছে। কান্ডটা অনেক লম্বা। গাঁঠগুলো বেশ ছাড়া ছাড়া। একদম মাথার উপরে একগুচ্ছ চুলের মতো কিছু পাতা। রাস্তায় হঠাৎ হঠাৎ বাঁক। বাঁকের ওদিকে কী আছে আগে থেকে কিছু দেখা যায় না। তারপর বাঁক ঘুরলেই প্রকৃতি তার ম্যাজিকের বাক্স হাট করে খুলে দিচ্ছে। জুম চাষের আয়োজন দেখলাম বেশ কিছু জায়গায়। পাহাড়ের অনেকটা উঁচুতে বেশ কিছু বাড়ি। উঁচু পাহাড়ের মাথায় সাদা বাড়ি, কমলা রঙের তিনকোনা ছাদ, চারদিকে ফার গাছের পাঁচিল। স্বর্গ আসলে এখানে। এখানেই থমকে আছে।
রাস্তায় খুব বেশি পোষ্য দেখিনি। কুকুরগুলোর চেহারা বেশ অন্যরকম। গায়ে প্রচুর লোম। শীতের হাত থেকে বাঁচার জন্য প্রকৃতির কী নিপুণ আয়োজন! এসব কুকুরকে অনেকে পোষার জন্য গরমের জায়গায় নিয়ে চলে আসেন। আমার সাধারণ বোধবুদ্ধি বলে এতে তাদের ভীষণ কষ্ট হয়। পাখি ক’টা দেখেছি সে তো গুনেই বলা যায়। রফিকদা বললো, যে কটা পাখি ছিল করোনার লকডাউনের সময় সেগুলোও মানুষের পেটে গেছে। খিদে মানুষের আদিমতম সত্যি। ক্ষুধার্ত মানুষ কবিতা লেখে না, সুন্দরের সাধনা করে না। ইতিহাস সাক্ষী, ক্ষুধার্ত মানুষ বরাবরই পূর্নিমার চাঁদে ঝলসানো রুটির অবয়ব দেখতে পায়। মাঝে মাঝে কুসংস্কার আর অপবিজ্ঞান নিয়ে বড় বড় কথা বলে ফেলি। শহুরে আলোর বৃত্ত ছাড়িয়ে প্রকৃতির কাছাকাছি এলে বোঝা যায় এরকম জায়গায় ওগুলোই স্বাভাবিক। অসহায় মানুষের হাতে একটাই জিনিস পড়ে থাকে- বিশ্বাস।
ভাবতে ভাবতে কখন গাড়ি চেরাপুঞ্জির ফাস্ট পয়েন্টে এসে গেছে। ব্রিজ পেরিয়ে উঁচু পাহাড়ের ওপর একটা ভিউ পয়েন্ট। এখান থেকেই প্রকৃতির অকস্মাৎ রূপ বদল। প্রতি মিনিটে মেঘের গতিপ্রকৃতি বদলে যাচ্ছে। এই চারদিক পরিষ্কার আবার পাঁচ মিনিটের মধ্যেই সব মেঘে ঢাকা। সামনের পাহাড়ঘেরা সবুজ উপত্যকা স্বপ্নের থেকেও সুন্দর। মেঘের দল ইতস্তত উড়ে বেড়াচ্ছে। শিশুর মতো চঞ্চল, উচ্ছল মেঘ। সে কারো বাধা মানে না। অজান্তেই আবৃত্তি করে উঠলাম-
“বৃষ্টি পড়ে এখানে বারো মাস
এখানে মেঘ গাভীর মতো চরে”
চেরাপুঞ্জিকে কেন বিশ্বের সবথেকে বেশি বৃষ্টিপাতের অঞ্চল বলা হয় তাই একটু বাদেই বুঝতে পারলাম। কয়েক মিনিট মেঘের পরতে ঢাকা অন্ধকার। তারপর হু হু করা ঠান্ডা বাতাস এসে মেঘ সরিয়ে নিয়ে গেলেই ঝমঝমিয়ে বৃষ্টি। এই মেঘ বৃষ্টির খেলা চলতে থাকে সারাদিন, সারা বছর। সৃষ্টির আদিকাল থেকে। কিছু তথ্য দিলে বৃষ্টির পরিমাণ বুঝতে সুবিধে হবে। কলকাতায় গড়পড়তা বৃষ্টির পরিমাণ বছরে ষাট ইঞ্চি। সেখানে চেরাপুঞ্জির গড় বৃষ্টিপাত সাড়ে চারশো ইঞ্চি। ১৮৬০-৬১ সালে রেকর্ড পরিমাণ বৃষ্টি হয়। বছরে ১০৪২ ইঞ্চি। এখন ক্রমাগত পাহাড় কেটে নেওয়ার ফলে বৃষ্টির পরিমাণ কমছে। স্বাভাবিক প্রকৃতি বদলে যাওয়ার ফলাফল যে ভালো হয় না, সে কথা নতুন করে বলার নয়। এখানেই রামকৃষ্ণ মিশনের মিউজিয়াম দেখলাম। স্থানীয় জনজাতির ভাষা, সংস্কৃতি ও প্রকৃতির বিভিন্ন অজানা দিক তুলে ধরা হয়েছে।
ততক্ষণে খিদেয় পেট জ্বলছে। সামনে ইকো পার্কে খাওয়ার ব্যবস্থা আছে। আরশির খুব খিদে পেয়েছিল। দুটো বিস্কুট খেয়ে ঘুমিয়ে পড়েছে। গাড়ির দুলুনি আর পাহাড়ি রাস্তার অসংখ্য বাঁক ঘোরার ফলে ধানসিড়ি একটু অসুস্থ হয়ে পড়েছে। ওষুধপত্র খাইয়ে আবার চলা শুরু হ’ল। রাস্তার দু’দিকে ব্রিটিশ ভারতের অগুনতি নিদর্শন- চার্চ, স্কুল, সমাধিক্ষেত্র। হঠাৎ দেখলে স্কটল্যান্ডের যে কোনও প্রান্তবর্তী গ্রামের কথা মনে পড়তে বাধ্য। ব্রিটিশরা মেঘালয়কে পূর্বের স্কটল্যান্ড বলে অভিহিত করেছিলেন।
ইকো পার্কে খাওয়ার দোকানগুলো সব বন্ধ। বাচ্চাগুলোর খাওয়া হয়নি। তাই এখানে বেশিক্ষণ অপেক্ষা করা গেল না। নইলে ইকো পার্কের সৌন্দর্যও পাগল করতে বাধ্য। হাতের নাগালে গুঁড়ো গুঁড়ো মেঘ ভেসে বেড়াচ্ছে। মেঘের ভেতর দিয়ে ভেসে বেড়াচ্ছি। গায়ে একটা স্যাঁতসেঁতে ভাব রেখে যেগুলো এদিকওদিক ছুটে যাচ্ছে সেগুলো সত্যি সত্যি জলজ্যান্ত মেঘ! সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে প্রায় এগারোশো মিটার উঠে এসেছি। ইকো পার্কের মধ্যে অনেকগুলো পাহাড়ি জলধারার একত্র সমাবেশ। একদম বাইরের দিকে এক জায়গায় অনেকটা জল লাফিয়ে অনেক নিচে পড়ছে। কত নিচে কে জানে? চোখ যায় না। বাইরে থেকে দেখতে পেলে বেশ হ’ত।
চেরাপুঞ্জি বাজারে যখন এসে পৌঁছোলাম তখন মুষলধারে বৃষ্টি শুরু হয়েছে। কনকনে ঠান্ডা বাতাস। ছাতা ধরে রাখা মুশকিল। সবার জামাকাপড় ভিজে গেছে। প্রথম দুটো হোটেল দেখলাম ঝাঁপ ফেলে বসে আছে। দুশ্চিন্তা হচ্ছে, আজ আর খাবারই জুটবে না কি? তৃতীয় দোকানটায় গেলাম। দরজা অর্ধেক বন্ধ। দরজা ঠেলে ভেতরে ঢুকে দেখি, তিনজন বসে বসে আগুনে হাত শেঁকছেন। জানালেন খাবার পাওয়া যাবে তবে একটু দেরি হবে। তাই সই। এখানে খাবারের ভয়ানক দাম। হবে নাই বা কেন? এই প্রতিকূল পরিস্থিতিতে একমুঠো ভাত খেতে পাচ্ছি, সেই যথেষ্ট। পেটে ছুঁচো ডন মারছিল। পাথর দিলেও বোধহয় হজম করে ফেলতাম। খাওয়া-দাওয়া শেষ করে টিকিট কেটে পাশের পাহাড়ি গুহায় গেলাম। বেশ লম্বা গুহা। ভেতরে আলোর ব্যবস্থা আছে। একা থাকলে অনেকটা যাওয়া যেত। মেঘালয়ে নাকি এমন গুহাও আছে যার দৈর্ঘ্য ৩৫ কিলোমিটার!
সেখান থেকে বেরিয়ে এসে মিনিট দশেক সামনে যাওয়ার পর রফিকদা আবার গাড়ি থামাল। তখনও বৃষ্টির বিরাম নেই। সামনে কী আছে কে জানে? রেলিং দিয়ে ঘেরা একটা জায়গা। সবাইকে গাড়িতেই থাকতে বলে আমি আর রিপন আগে জায়গাটা দেখতে গেলাম। পথশ্রমে সবাই ক্লান্ত। সেরকম ভালো দেখার মত জায়গা হলে তবেই সবাইকে নেমে আসতে বলবো। ছাতা সামলে রেলিং-এর ধারে গেলাম। এটা কী! চোখ কচলে দেখছি, বাস্তব না সিনেমা? সামনের ৩৬০ ডিগ্রীতে অসংখ্য জলপ্রপাত একসাথে ঝরে পড়ছে। সাতটা পরপর বেশ বড়। তাছাড়া অনেকগুলো ছোট ছোট। নাম সেভেন সিস্টার্স ফলস। সাত পাহাড়ি সুন্দরী সৌন্দর্যের প্রতিযোগিতায় নেমেছে যেন। কাকে ছেড়ে কাকে দেখি? কী অপরূপ তাদের বিভঙ্গ! কী রহস্যময় তাদের শরীরী কটাক্ষ! ক’দিন প্রচুর বৃষ্টি হয়েছে। তাই জলপ্রপাত এখন পূর্ণ যৌবনবতী। মাদকতাময় শব্দ তুলে চরাচর মাতিয়ে তারা ঝরে পড়ছে কোন অতলে! নিচের উপত্যকায় পাহাড়ি নদী তৈরি হয়েছে। সেভেন সিস্টার্স ফলস ভারতের অন্যতম উঁচু জলপ্রপাত। পাহাড় আর পাহাড়। মেঘের লুকোচুরি। তার মধ্যে সাত জলপ্রপাত উত্তাল, উদ্দামভাবে খেলা করছে। ইকো পার্ক থেকে যে বড় জলরাশি নিচে পড়তে দেখেছিলাম। এখানে এসে বুঝলাম সেটা সেভেন সিস্টার্সেরই একটা অংশ ছিল। এতটাই মোহিত হয়ে ছিলাম যে বাকিদের ডাকতে ভুলে গিয়েছিলাম। সম্বিৎ ফিরলে সবাইকে ডেকে আনলাম। এ দৃশ্যে চোখ সার্থক না করলেই নয়।
যেতে যেতে ছোট ছোট নাম না জানা কতগুলো জলপ্রপাত দেখলাম গুনে রাখিনি। সবাই ভিজে চুপ্পুস। বৃষ্টিটা একটু ধরেছে। ভেজা গায়ে ঠান্ডা বাতাস তীরের ফলার মতো বিঁধছে। নোকালিকাই জলপ্রপাতের সামনে দাঁড়িয়ে আছি। জলপ্রপাতের বিভিন্ন প্রকারভেদ হয়। কোনোটা পাহাড়ের গা গড়িয়ে পড়ে। কোনোটা উপর থেকে সরাসরি লাফ দিয়ে নীচে পড়ে। সরাসরি নেমে আসা জলপ্রপাতগুলোর মধ্যে নোকালিকাই ভারতের উচ্চতম। উচ্চতা ৩১৫ মিটার। নোকালিকাই নিয়ে একটি স্থানীয় উপকথা প্রচলিত আছে। খাসি জনজাতির এক মহিলার নাম কাই। মেঘালয়ের ভাষায় মহিলাদের আগে ‘লি’ শব্দটি ব্যবহার হয়। স্বামীর মৃত্যুর পরে কাই নিজের কয়েক মাসের কন্যাসন্তানকে নিয়ে একাই বাস করতো। স্বামীর মালপত্র বওয়ার কাজ তার কাঁধে এসে পড়লো। অল্প ক’পয়সা রোজগারে দুজনের পেট চালানো ভারি কঠিন। সারাদিন পরিশ্রমের পর মেয়ের দেখভালও ভালো করে করা যাচ্ছিল না। কাই আবার বিয়ে করলো। বাচ্চা মেয়েটার ওপর সৎবাবার ভয়ানক রাগ! বাচ্চার দিকে বেশি নজর দিতে গিয়ে বরের সেবাযত্নে কমতি থেকে যাচ্ছে। মেঘালয়ের মাতৃতান্ত্রিক সমাজ। তবু বাইরে মালপত্র বওয়ার কাজ, বাড়ির যাবতীয় কাজ, বাচ্চার দেখভাল; সবটাই কাই-কে একা হাতে করতে হয়। বর কুটোটাও নাড়ে না। একদিন কাই বাড়ি ফিরে ক্লান্ত, বিধ্বস্ত। এসে দেখে বর তার জন্য মাংস বান্না করে রেখেছে। খিদের চোটে পেট ভরে মাংস দিয়ে রুটি খেলো। তারপর বাচ্চার নাম ধরে ডাকলো। সাড়া পাওয়া গেল না।
আশেপাশে কোথাও ঘুরে বেড়াচ্ছে নিশ্চয়ই। অতশত না ভেবে কাই সুপুরি কাটতে বসলো। খাওয়ার পরে তার সুপুরি চেবানোর অভ্যেস। সুপুরি কাটতে বসে আতঙ্কে শিউরে উঠলো কাই। সুপুরির স্তুপের পাশে একটা বাচ্চার কাটা আঙুল! কিছুই বুঝতে বাকি রইলো না। যে মাংস এতক্ষণ আয়েশ করে খেয়েছে সেটা তার মেয়ের! রাগে, দুঃখে কাই পাগলের মতো ছুটতে শুরু করলো। তারপর পাহাড়ের উপর থেকে ঝাঁপ দিয়ে নিজেকে শেষ করে দিলো। নোকালিকাই জলপ্রপাতের জল যেন কাইয়ের অশ্রু। এ জলপ্রপাতের গর্জন এক কন্যাহারা মায়ের হাহাকার। কনকনে ঠান্ডা বাতাসে কাইয়ের দীর্ঘশ্বাস।
বাচ্চাগুলো ঘুমিয়ে পড়েছে। ঋতায়ণ বৌ-কে ছেড়ে আর এক মুহূর্তও বৃষ্টিতে ভিজতে রাজি নয়। সবাই কমবেশি ক্লান্ত। আর সামনে নয়, এবার পেছন ফেরার পালা। গাড়ি শিলংয়ের দিকে ফিরে চললো।
(পরবর্তী পর্বে সমাপ্য)