সে কি বলেছে সে দুঃখিত খুব? যাচনা করেছে নাকি ক্ষমা?
সত্য লিখবে না বলে মুচলেকা দিয়ে কলম কি করেছে সে জমা?
কই না তো, এই তো আজ, গত কাল, গত পরশুতে তার শব্দরা,
যেদিকে বাতাস বয়, বিলকুল বিপরীতে ছুটিয়েছে তেজিয়ান ঘোড়া,
শিরদাঁড়া সোজা রেখে, কোথাও করেনি সে একটু আপোষ,
নির্বাসনের কালে কৃতকর্মকে নিয়ে কেউই শোনেনি তার কোনো আপশোষ।
সে দিব্যি ছিলো, ভোগেনি ‘কৃত’ আর ‘ক্রীত’দের বানান বিভ্রাটে,
আগুন পসরা নিয়ে রোজ দেখা গেছে তাকে কথাদের হাটে,
সব পসরা পণ্য নয়, অন্তত তারগুলো যে আলাদা বোঝে সব্বাই,
আমরা সুযোগ খুঁজে তার কথা পড়ে নিতে লাইনে দাঁড়াই,
না যদি দাঁড়াতাম, শূন্য পাঠক হলে তার কিছু আসে যায় বুঝি?
ধুর ধুর, সে তো নির্বিকার, আমরাই ফিরে ফিরে তার কাছে আয়নাকে খুঁজি,
সে চলেছে একলা, অজস্র অনুসারী পেছনে হাঁটছে বলে মিছিলের ভ্রম,
কেউ যদি নাও থাকে, সে হাঁটা থামায় না, যেতে পারে একা একদম,
এরকম লোক হলে কি ভয় দেখাবে, শাস্তি দিতে কি পারে কেউ?
ওই শোনো কল্লোল, শব্দের উচ্ছ্বাসে দিকে দিকে প্রতিবাদী ঢেউ,
সে দুঃখিত নয় মোটে, বয়ান রেখেছে ধরে ঋজু আর জেদি অক্ষরে..
তাই তো প্রশ্ন থাকে, কি আশা করেছিলেন দুবছর ধরে তাকে সাসপেন্ড করে,
সে নতজানু হবে? যেমন হয়েই থাকে ধমকে কুঁকড়ে থাকা প্রজাদের দল?
মুশকিল কি জানেন, হামাগুড়ি দিতে সেই শিশুকালে ভুলেছেন কবি অরুণাচল!
শ্রদ্ধা
??