দিনলিপিঃ এক ডাক্তারের চলে যাওয়া
চলে গেলেন দাদা। আশা আর আশঙ্কার মধ্যে দুলতে থাকা হাসপাতাল বা তার বাইরের, বন্ধু অথবা নিকট আত্মীয়দের, সবাইকে ফেলে রেখে। আমরা যারা ডাক্তার, যারা জীবন
চলে গেলেন দাদা। আশা আর আশঙ্কার মধ্যে দুলতে থাকা হাসপাতাল বা তার বাইরের, বন্ধু অথবা নিকট আত্মীয়দের, সবাইকে ফেলে রেখে। আমরা যারা ডাক্তার, যারা জীবন
শুভাশিসদার সাথে আমার পরিচয় প্রায় বছর দশেক আগে। আমি যখন প্রথম এই হাসপাতালে যোগ দিই জেনারেল সার্জারি বিভাগে, তার কিছুদিন পরেই গাইনোকলজিতে শুভাশিসদা যোগ দেন।বয়সে
সপ্তমী দিনটা ছুটি পেলেও মহাষ্টমী কেটে গেল কাজের চাপে। সারাদিন ধরে ইমার্জেন্সি করে সন্ধ্যাটাও বাদ গেল না। বাড়ি ফিরতে ফিরতে প্রায় মাঝরাত। তবে যাতায়াতের পথে
আকাশে বাতাসে এখন সাজো সাজো রব। যে কোনো বাঙালির জীবনে সেই আদি অকৃত্রিম দুর্গোৎসবের আকর্ষণ তো আর বলবার অপেক্ষা রাখে না। তবে এবারের পুজোর আবেদন
শুরুটা দেখে অনেকে চমকে যেতে পারেন। ভাবতে পারেন একজন শিক্ষিত মানুষের এ হেন শব্দ চয়নের কি কারণ?বাংলা ভাষায় বিরক্তির মনোভাবকে প্রকাশ করার মতো প্রতিশব্দের তো
আপনার বা আমাদের সবার মস্তিষ্ক কি ঠিকঠাক কাজ করে সবসময়? উত্তরটা হ্যাঁ বা না যাই হোক না কেন তার ব্যাখ্যা কিন্তু একটাই। আমাদের সবার ভিতরেই
শোনা যাচ্ছে মেডিক্যাল কলেজের প্রায় ৩৮ জন ডাক্তার কোভিড পজিটিভ। তাদের কোয়ার্যান্টাইন বা আইসোলেশনে পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ বেসরকারি ডাক্তারদের কাছে আবেদন করেছেন সংক্রামিত
কাল মাঝরাতে হাসপাতালে যেতে হয়েছিল।ইমার্জেন্সি পেসেন্ট দেখে ফিরতে ফিরতে রাত গড়িয়ে যায় অনেকটাই।বরাবর দেখেছি ফিরে আসার সময় আমার মেজাজ টা বেশ ফুরফুরে হয়ে যায়।ফাঁকা রাস্তায়
ফেসবুকের পাতা উল্টোতে উল্টোতে বন্ধুবর ডাঃ হিমাদ্রি শেখর মজুমদারের একটা পোস্টে চোখ আটকে গেল। একটি দৈনিক খবরের কাগজের স্ক্রীনশট। যেখানে লিখছে এই করোনাযুদ্ধের মোকাবিলায় একদা
দামিনী নাগ। বাড়ি দুর্গাপুরে। পেশায় আইনজীবি।হাইকোর্টের মামলায় অংশগ্রহণ করতে আসছিলেন ন্যাশনাল হাইওয়ে ধরে কলকাতায়। রাস্তায় আচমকা উল্টোদিক থেকে একটা গরু ঢুকে পড়ায়, তাকে প্রাণে বাঁচাতে
“ডায়াস্টেসিস এটা!” “ফ্র্যাকচার নয়? উপরের জিগজ্যাগ লাইনগুলো দেখে তো ভাঙা বলেই মনে হচ্ছে।” “ভালো করে লক্ষ্য করলে বোঝা যাবে যেখানে খুলির জোড়াটা (suture) লাগানো ছিল,
রাত প্রায় দুটো বাজে। আই সি ইউ-র ওয়াশ বেসিনের সামনে দাঁড়িয়ে সাবান দিয়ে হাত ধোয়া চলছিল খুব যত্ন করে। এরপর পেপার ন্যাপকিনে হাত মুছে একপ্রস্থ
চলে গেলেন দাদা। আশা আর আশঙ্কার মধ্যে দুলতে থাকা হাসপাতাল বা তার বাইরের, বন্ধু অথবা নিকট আত্মীয়দের, সবাইকে ফেলে রেখে। আমরা যারা ডাক্তার, যারা জীবন
শুভাশিসদার সাথে আমার পরিচয় প্রায় বছর দশেক আগে। আমি যখন প্রথম এই হাসপাতালে যোগ দিই জেনারেল সার্জারি বিভাগে, তার কিছুদিন পরেই গাইনোকলজিতে শুভাশিসদা যোগ দেন।বয়সে
সপ্তমী দিনটা ছুটি পেলেও মহাষ্টমী কেটে গেল কাজের চাপে। সারাদিন ধরে ইমার্জেন্সি করে সন্ধ্যাটাও বাদ গেল না। বাড়ি ফিরতে ফিরতে প্রায় মাঝরাত। তবে যাতায়াতের পথে
আকাশে বাতাসে এখন সাজো সাজো রব। যে কোনো বাঙালির জীবনে সেই আদি অকৃত্রিম দুর্গোৎসবের আকর্ষণ তো আর বলবার অপেক্ষা রাখে না। তবে এবারের পুজোর আবেদন
শুরুটা দেখে অনেকে চমকে যেতে পারেন। ভাবতে পারেন একজন শিক্ষিত মানুষের এ হেন শব্দ চয়নের কি কারণ?বাংলা ভাষায় বিরক্তির মনোভাবকে প্রকাশ করার মতো প্রতিশব্দের তো
আপনার বা আমাদের সবার মস্তিষ্ক কি ঠিকঠাক কাজ করে সবসময়? উত্তরটা হ্যাঁ বা না যাই হোক না কেন তার ব্যাখ্যা কিন্তু একটাই। আমাদের সবার ভিতরেই
শোনা যাচ্ছে মেডিক্যাল কলেজের প্রায় ৩৮ জন ডাক্তার কোভিড পজিটিভ। তাদের কোয়ার্যান্টাইন বা আইসোলেশনে পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ বেসরকারি ডাক্তারদের কাছে আবেদন করেছেন সংক্রামিত
কাল মাঝরাতে হাসপাতালে যেতে হয়েছিল।ইমার্জেন্সি পেসেন্ট দেখে ফিরতে ফিরতে রাত গড়িয়ে যায় অনেকটাই।বরাবর দেখেছি ফিরে আসার সময় আমার মেজাজ টা বেশ ফুরফুরে হয়ে যায়।ফাঁকা রাস্তায়
ফেসবুকের পাতা উল্টোতে উল্টোতে বন্ধুবর ডাঃ হিমাদ্রি শেখর মজুমদারের একটা পোস্টে চোখ আটকে গেল। একটি দৈনিক খবরের কাগজের স্ক্রীনশট। যেখানে লিখছে এই করোনাযুদ্ধের মোকাবিলায় একদা
দামিনী নাগ। বাড়ি দুর্গাপুরে। পেশায় আইনজীবি।হাইকোর্টের মামলায় অংশগ্রহণ করতে আসছিলেন ন্যাশনাল হাইওয়ে ধরে কলকাতায়। রাস্তায় আচমকা উল্টোদিক থেকে একটা গরু ঢুকে পড়ায়, তাকে প্রাণে বাঁচাতে
“ডায়াস্টেসিস এটা!” “ফ্র্যাকচার নয়? উপরের জিগজ্যাগ লাইনগুলো দেখে তো ভাঙা বলেই মনে হচ্ছে।” “ভালো করে লক্ষ্য করলে বোঝা যাবে যেখানে খুলির জোড়াটা (suture) লাগানো ছিল,
রাত প্রায় দুটো বাজে। আই সি ইউ-র ওয়াশ বেসিনের সামনে দাঁড়িয়ে সাবান দিয়ে হাত ধোয়া চলছিল খুব যত্ন করে। এরপর পেপার ন্যাপকিনে হাত মুছে একপ্রস্থ
আমাদের লক্ষ্য সবার জন্য স্বাস্থ্য আর সবার জন্য চিকিৎসা পরিষেবা। আমাদের আশা, এই লক্ষ্যে ডাক্তার, স্বাস্থ্যকর্মী, রোগী ও আপামর মানুষ, স্বাস্থ্য ব্যবস্থার সমস্ত স্টেক হোল্ডারদের আলোচনা ও কর্মকাণ্ডের একটি মঞ্চ হয়ে উঠবে ডক্টরস ডায়ালগ।
Editorial Committee:
Dr. Punyabrata Gun
Dr. Jayanta Das
Dr. Chinmay Nath
Dr. Indranil Saha
Dr. Aindril Bhowmik
Executive Editor: Piyali Dey Biswas
Shramajibi Swasthya Udyog
HA 44, Salt Lake, Sector-3, Kolkata-700097
নীচে Justori র মাধ্যমে আমাদের সদস্য হন – নিজে বলুন আপনার প্রশ্ন, মতামত – সরাসরি উত্তর পান ডাক্তারের কাছ থেকে