মারীর দেশে সিঁদুরে মেঘ
বেশ কিছুদিন হ’ল হাসপাতালে আবার পুরোদমে কাজ করতে শুরু করেছি। নাইট ডিউটি, অনকল, অ্যাডমিশন ডে.. ইত্যাদি প্রভৃতি মিলিয়ে যেমন যা হয় আর কী.. প্রতি বছরই
বেশ কিছুদিন হ’ল হাসপাতালে আবার পুরোদমে কাজ করতে শুরু করেছি। নাইট ডিউটি, অনকল, অ্যাডমিশন ডে.. ইত্যাদি প্রভৃতি মিলিয়ে যেমন যা হয় আর কী.. প্রতি বছরই
সংখ্যাতত্ত্বে কোনোদিনই বিশ্বাস ছিল না। তবু যুক্তিগুলোকে দূরে সরিয়ে রাখলে মনে হয় ‘কুড়ি’র গায়ে অভিশাপ আছে। আজ এই দু’কুড়ি সালের অক্টোবর অব্দি মারীর কবলে পড়ে
চারদিন হ’ল ন’তলার কেবিনে উঠে এসেছি। প্রতিদিনের সেই চেনা হাঁকডাক, গাড়ির হর্ন, রোজকার কেজো আলাপচারিতার চিহ্নমাত্র নেই। ওয়ার্ডে পা রাখলেই বাচ্চার কান্না, বাড়ির লোকের অভাব-অভিযোগ
ক’দিন ধরেই ভীষণ গায়ে-হাতে ব্যথা হচ্ছিল। খাওয়ার ইচ্ছে ছিল না একদম। অতটা পাত্তা দিই নি। শেষ একমাসে ডিউটির চাপটাও বেশ বেড়েছিল। ভেবেছিলাম ঘুমের অভাব আর
খবরের কাগজ পড়ি না, টিভি দেখি না…..সে বহুদিন হ’ল। চারপাশের খবরও আর সেভাবে পাই না। কোভিডের গ্রাফ কদ্দূর উঠে আর কদ্দূর নেমে গেল, ভ্যাক্সিন ঠিক
১. আসিফা বিবির (নাম পরিবর্তিত) প্রসব যন্ত্রণা উঠেছিল অনেক আগেই। গোঁড়া পরিবারের মুরুব্বিদের ফতোয়ায় হাসপাতালে না নিয়ে গিয়ে বাড়িতেই প্রসব করানোর বন্দোবস্ত হয়। বাচ্চা জন্মের
সক্কাল সক্কাল সবে হাজিরা খাতায় সইসাবুদ সেরে সারাদিনের যুদ্ধের প্রস্তুতি নিচ্ছি.. ওয়ার্ড থেকে ফোন.. – শিগগির আসুন ডক্টর। খুব খারাপ বাচ্চা এসেছে.. পিপিই গলিয়ে হন্তদন্ত
মানে, ওই কী যেন বলে.. ‘যোদ্ধা-টোদ্ধা’ সেসব তখন অনেকেই বলে দিয়েছেন। খুব জরুরি কাজে কাউকে টুক করে ফোন সেরে নিতে গেলেও তার আগে সাড়ে বাহাত্তর
‘মগের মুলুক’ কথাটির সাথে আমরা সবাই পরিচিত। আরাকান রাজ্যের মগ ও পর্তুগিজ দস্যুরা মিলে মোগল আমলে এখানে ভয়ের রাজত্ব গড়ে তুলেছিল। সুপ্রাচীন তাম্রলিপ্ত বন্দরের গরিমা
লক-ডাউনের জন্য বহুদিন শালবনী যেতে পারিনি। বাড়ির কাছের চেম্বারে নিয়মিত রোগী দেখলেও দূরের চেম্বারগুলোয় যাওয়া সম্ভব ছিল না। অনেক বাচ্চার ভ্যাক্সিন বাকি ছিল। তাছাড়া আরও
১. নবজাতকের জন্মের পর পরিষ্কার লিনেন কাপড় দিয়ে বাচ্চার গায়ে লেগে থাকা রক্ত, বাচ্চার কালো পায়খানা, মায়ের অ্যামনিওটিক তরল (বাচ্চা মায়ের জরায়ুতে যে জলে ভেসে
১. প্রথম ছ’মাস বাচ্চা শুধুই বুকের দুধ খাবে। বাড়তি জল, চরণামৃত, মধু, তুলসী পাতার রস ইত্যাদি কিছুই না। ২. হজমের ওষুধ, গ্রাইপ ওয়াটার, এনজাইম ইত্যাদি
বেশ কিছুদিন হ’ল হাসপাতালে আবার পুরোদমে কাজ করতে শুরু করেছি। নাইট ডিউটি, অনকল, অ্যাডমিশন ডে.. ইত্যাদি প্রভৃতি মিলিয়ে যেমন যা হয় আর কী.. প্রতি বছরই
সংখ্যাতত্ত্বে কোনোদিনই বিশ্বাস ছিল না। তবু যুক্তিগুলোকে দূরে সরিয়ে রাখলে মনে হয় ‘কুড়ি’র গায়ে অভিশাপ আছে। আজ এই দু’কুড়ি সালের অক্টোবর অব্দি মারীর কবলে পড়ে
চারদিন হ’ল ন’তলার কেবিনে উঠে এসেছি। প্রতিদিনের সেই চেনা হাঁকডাক, গাড়ির হর্ন, রোজকার কেজো আলাপচারিতার চিহ্নমাত্র নেই। ওয়ার্ডে পা রাখলেই বাচ্চার কান্না, বাড়ির লোকের অভাব-অভিযোগ
ক’দিন ধরেই ভীষণ গায়ে-হাতে ব্যথা হচ্ছিল। খাওয়ার ইচ্ছে ছিল না একদম। অতটা পাত্তা দিই নি। শেষ একমাসে ডিউটির চাপটাও বেশ বেড়েছিল। ভেবেছিলাম ঘুমের অভাব আর
খবরের কাগজ পড়ি না, টিভি দেখি না…..সে বহুদিন হ’ল। চারপাশের খবরও আর সেভাবে পাই না। কোভিডের গ্রাফ কদ্দূর উঠে আর কদ্দূর নেমে গেল, ভ্যাক্সিন ঠিক
১. আসিফা বিবির (নাম পরিবর্তিত) প্রসব যন্ত্রণা উঠেছিল অনেক আগেই। গোঁড়া পরিবারের মুরুব্বিদের ফতোয়ায় হাসপাতালে না নিয়ে গিয়ে বাড়িতেই প্রসব করানোর বন্দোবস্ত হয়। বাচ্চা জন্মের
সক্কাল সক্কাল সবে হাজিরা খাতায় সইসাবুদ সেরে সারাদিনের যুদ্ধের প্রস্তুতি নিচ্ছি.. ওয়ার্ড থেকে ফোন.. – শিগগির আসুন ডক্টর। খুব খারাপ বাচ্চা এসেছে.. পিপিই গলিয়ে হন্তদন্ত
মানে, ওই কী যেন বলে.. ‘যোদ্ধা-টোদ্ধা’ সেসব তখন অনেকেই বলে দিয়েছেন। খুব জরুরি কাজে কাউকে টুক করে ফোন সেরে নিতে গেলেও তার আগে সাড়ে বাহাত্তর
‘মগের মুলুক’ কথাটির সাথে আমরা সবাই পরিচিত। আরাকান রাজ্যের মগ ও পর্তুগিজ দস্যুরা মিলে মোগল আমলে এখানে ভয়ের রাজত্ব গড়ে তুলেছিল। সুপ্রাচীন তাম্রলিপ্ত বন্দরের গরিমা
লক-ডাউনের জন্য বহুদিন শালবনী যেতে পারিনি। বাড়ির কাছের চেম্বারে নিয়মিত রোগী দেখলেও দূরের চেম্বারগুলোয় যাওয়া সম্ভব ছিল না। অনেক বাচ্চার ভ্যাক্সিন বাকি ছিল। তাছাড়া আরও
১. নবজাতকের জন্মের পর পরিষ্কার লিনেন কাপড় দিয়ে বাচ্চার গায়ে লেগে থাকা রক্ত, বাচ্চার কালো পায়খানা, মায়ের অ্যামনিওটিক তরল (বাচ্চা মায়ের জরায়ুতে যে জলে ভেসে
১. প্রথম ছ’মাস বাচ্চা শুধুই বুকের দুধ খাবে। বাড়তি জল, চরণামৃত, মধু, তুলসী পাতার রস ইত্যাদি কিছুই না। ২. হজমের ওষুধ, গ্রাইপ ওয়াটার, এনজাইম ইত্যাদি
আমাদের লক্ষ্য সবার জন্য স্বাস্থ্য আর সবার জন্য চিকিৎসা পরিষেবা। আমাদের আশা, এই লক্ষ্যে ডাক্তার, স্বাস্থ্যকর্মী, রোগী ও আপামর মানুষ, স্বাস্থ্য ব্যবস্থার সমস্ত স্টেক হোল্ডারদের আলোচনা ও কর্মকাণ্ডের একটি মঞ্চ হয়ে উঠবে ডক্টরস ডায়ালগ।
Editorial Committee:
Dr. Punyabrata Gun
Dr. Jayanta Das
Dr. Chinmay Nath
Dr. Indranil Saha
Dr. Aindril Bhowmik
Executive Editor: Piyali Dey Biswas
Shramajibi Swasthya Udyog
HA 44, Salt Lake, Sector-3, Kolkata-700097
নীচে Justori র মাধ্যমে আমাদের সদস্য হন – নিজে বলুন আপনার প্রশ্ন, মতামত – সরাসরি উত্তর পান ডাক্তারের কাছ থেকে