আই সি ইউ, ডিসেম্বর, ২০১৬
যান্ত্রিক শীতঘুম, অবিরাম সাপলুডো খেলা মনিটরে জিংগল বেল বাজে, বয়ে যায় বেলা। ঠান্ডা বিছানা আর মুখোশের হাওয়া-রা তো জানে, জীবনের অঙ্কের চুলচেরা হিসেব এখানে। ক্লান্তি
যান্ত্রিক শীতঘুম, অবিরাম সাপলুডো খেলা মনিটরে জিংগল বেল বাজে, বয়ে যায় বেলা। ঠান্ডা বিছানা আর মুখোশের হাওয়া-রা তো জানে, জীবনের অঙ্কের চুলচেরা হিসেব এখানে। ক্লান্তি
আমার ছোটবেলায় শীত আসত একটা লাল কালো হাফ সোয়েটারের হাত ধরে। মায়ের বোনা প্রথম পশমী কাজ, আমার জন্য। তাতে বিশাল বড় বড় বোতাম লাগানো ছিল
তক্তপোশের উপর গুটোনো তেলচিটে শতরঞ্চি মোড়া ছেঁড়া তোশকে হেলান দিয়ে লোকটা, গরাদে দেওয়া জানলার বাইরে চায়। কাছের জিনিস দেখতে অসুবিধে হতো আগেই— এখন দূরের জিনিসও
দেওয়ালির বারবেলা — নাড়ুদের উঠোনে, ভূতেদের সংসদী বাজি অধিবেশনে, সক্ষোভে প্রশ্নটি তুলেছিল মামদো ‘মানুষের পৃথিবীতে কেন এত শব্দ?’ পেঁচো হয় সহমত– ‘মাইরি, যা হচ্চে! চকলেট,
অকর্মণ্য দুপুরবেলা ভাতঘুমের পরিবর্তে শরদিন্দুর ব্যোমকেশ কাহিনীর পাতা ওল্টাচ্ছিলাম। ‘বেণীসংহার’। বহুপঠিত, তবু ফের পড়তে আরম্ভ করলাম। তরতরে কাহিনী, ঝরঝরে ভাষা। দেখতে দেখতে শেষের দিকে পৌঁছে
কালীপুজো এলেই আত্মবিস্মৃত বাঙালির সোনালি বিস্মরণের অতল থেকে উঠে আসেন পান্নালাল ভট্টাচার্য। ভেসে ওঠেন তাঁর বুক এফোঁড় ওফোঁড় করা আকুল উচ্চারণ নিয়ে — ‘আমার সাধ
শতকরা পঁচানব্বই ভাগ বাঙালিই দুর্গাপুজোর ঐ চারটে দিনের (মতান্তরে দশদিনের) চাইতে ‘পুজো আসছে, পুজো আসছে’ এই ব্যাপারটাই উপভোগ করে বেশি। গলদঘর্ম হয়ে মার্কেটিং, লাস্ট মোমেন্টের
কোজাগরী লক্ষ্মীপূজার পূর্বরাত্রে হুতোমপেঁচি গাঙের কেল্লার নিকটস্থ রাজপথে বাৎসরিক কার্নিভাল মহামোচ্ছব অবলোকন করিবার নিমিত্ত যাত্রা করিল। একে তো সেই স্থান তাহার দুর্গম হোগলাবনের বাসা হইতে
এলোমেলো দিন চলেছে। রোগের রোজনামচা দিয়ে সকাল আরম্ভ হয়। সকাল। ভোর নয়। আমার জীবনে কোনো ভোর নেই। হাসপাতাল, ডিউটি, টেলিমেডিসিন (হ্যাঁ, আমা হেন ‘পাতি’কেও ‘কনসাল্ট’
নিজের বিয়ের দিনে, ঠিক যখন কুশন্ডিকা হবে, তখন মার্লন ব্র্যান্ডোকে দেখার তাড়নায় টুক করে স্মার্টফোন খুলে গডফাদার দেখতে ইচ্ছে হয়েছিল আপনাদের কারোর? কিংবা উচ্চমাধ্যমিক কেমিস্ট্রি
‘কেউ বাড়াবাড়ি করলে, জায়গায় জায়গায় শীতলখুচি হবে’-র বক্তা পার পেয়ে গেলেন নির্বাচন কমিশনের কাছে। এক মহিলা নেত্রীকে টোন কেটে ব্যঙ্গ সম্বোধন করা প্রধানমন্ত্রী পার পেয়ে
বাংলা চলেছে যুদ্ধে! পায়ে প্লাস্টার, ন্যাজে নামাবলী, কাস্তে ও হাতে জোর গলাগলি, টিকি, ফেজ, দাড়ি, বাইকের র্যালি — কোভিড হেসে কয়, গুড ডে! বাংলা চলেছে
যান্ত্রিক শীতঘুম, অবিরাম সাপলুডো খেলা মনিটরে জিংগল বেল বাজে, বয়ে যায় বেলা। ঠান্ডা বিছানা আর মুখোশের হাওয়া-রা তো জানে, জীবনের অঙ্কের চুলচেরা হিসেব এখানে। ক্লান্তি
আমার ছোটবেলায় শীত আসত একটা লাল কালো হাফ সোয়েটারের হাত ধরে। মায়ের বোনা প্রথম পশমী কাজ, আমার জন্য। তাতে বিশাল বড় বড় বোতাম লাগানো ছিল
তক্তপোশের উপর গুটোনো তেলচিটে শতরঞ্চি মোড়া ছেঁড়া তোশকে হেলান দিয়ে লোকটা, গরাদে দেওয়া জানলার বাইরে চায়। কাছের জিনিস দেখতে অসুবিধে হতো আগেই— এখন দূরের জিনিসও
দেওয়ালির বারবেলা — নাড়ুদের উঠোনে, ভূতেদের সংসদী বাজি অধিবেশনে, সক্ষোভে প্রশ্নটি তুলেছিল মামদো ‘মানুষের পৃথিবীতে কেন এত শব্দ?’ পেঁচো হয় সহমত– ‘মাইরি, যা হচ্চে! চকলেট,
অকর্মণ্য দুপুরবেলা ভাতঘুমের পরিবর্তে শরদিন্দুর ব্যোমকেশ কাহিনীর পাতা ওল্টাচ্ছিলাম। ‘বেণীসংহার’। বহুপঠিত, তবু ফের পড়তে আরম্ভ করলাম। তরতরে কাহিনী, ঝরঝরে ভাষা। দেখতে দেখতে শেষের দিকে পৌঁছে
কালীপুজো এলেই আত্মবিস্মৃত বাঙালির সোনালি বিস্মরণের অতল থেকে উঠে আসেন পান্নালাল ভট্টাচার্য। ভেসে ওঠেন তাঁর বুক এফোঁড় ওফোঁড় করা আকুল উচ্চারণ নিয়ে — ‘আমার সাধ
শতকরা পঁচানব্বই ভাগ বাঙালিই দুর্গাপুজোর ঐ চারটে দিনের (মতান্তরে দশদিনের) চাইতে ‘পুজো আসছে, পুজো আসছে’ এই ব্যাপারটাই উপভোগ করে বেশি। গলদঘর্ম হয়ে মার্কেটিং, লাস্ট মোমেন্টের
কোজাগরী লক্ষ্মীপূজার পূর্বরাত্রে হুতোমপেঁচি গাঙের কেল্লার নিকটস্থ রাজপথে বাৎসরিক কার্নিভাল মহামোচ্ছব অবলোকন করিবার নিমিত্ত যাত্রা করিল। একে তো সেই স্থান তাহার দুর্গম হোগলাবনের বাসা হইতে
এলোমেলো দিন চলেছে। রোগের রোজনামচা দিয়ে সকাল আরম্ভ হয়। সকাল। ভোর নয়। আমার জীবনে কোনো ভোর নেই। হাসপাতাল, ডিউটি, টেলিমেডিসিন (হ্যাঁ, আমা হেন ‘পাতি’কেও ‘কনসাল্ট’
নিজের বিয়ের দিনে, ঠিক যখন কুশন্ডিকা হবে, তখন মার্লন ব্র্যান্ডোকে দেখার তাড়নায় টুক করে স্মার্টফোন খুলে গডফাদার দেখতে ইচ্ছে হয়েছিল আপনাদের কারোর? কিংবা উচ্চমাধ্যমিক কেমিস্ট্রি
‘কেউ বাড়াবাড়ি করলে, জায়গায় জায়গায় শীতলখুচি হবে’-র বক্তা পার পেয়ে গেলেন নির্বাচন কমিশনের কাছে। এক মহিলা নেত্রীকে টোন কেটে ব্যঙ্গ সম্বোধন করা প্রধানমন্ত্রী পার পেয়ে
বাংলা চলেছে যুদ্ধে! পায়ে প্লাস্টার, ন্যাজে নামাবলী, কাস্তে ও হাতে জোর গলাগলি, টিকি, ফেজ, দাড়ি, বাইকের র্যালি — কোভিড হেসে কয়, গুড ডে! বাংলা চলেছে
আমাদের লক্ষ্য সবার জন্য স্বাস্থ্য আর সবার জন্য চিকিৎসা পরিষেবা। আমাদের আশা, এই লক্ষ্যে ডাক্তার, স্বাস্থ্যকর্মী, রোগী ও আপামর মানুষ, স্বাস্থ্য ব্যবস্থার সমস্ত স্টেক হোল্ডারদের আলোচনা ও কর্মকাণ্ডের একটি মঞ্চ হয়ে উঠবে ডক্টরস ডায়ালগ।
Editorial Committee:
Dr. Punyabrata Gun
Dr. Jayanta Das
Dr. Chinmay Nath
Dr. Indranil Saha
Dr. Aindril Bhowmik
Executive Editor: Piyali Dey Biswas
Shramajibi Swasthya Udyog
HA 44, Salt Lake, Sector-3, Kolkata-700097
নীচে Justori র মাধ্যমে আমাদের সদস্য হন – নিজে বলুন আপনার প্রশ্ন, মতামত – সরাসরি উত্তর পান ডাক্তারের কাছ থেকে