উপেক্ষিতা নায়িকা
মাঝরাতে কলিংবেলের শব্দে ঘুম ভাঙল। দরজা খুলে অবাক। সদ্য চাকরিতে জয়েন করেছি।হাসপাতালের কাছাকাছি এক বাড়িতে ভাড়া থাকি। সেই মাঝরাতে খুব সিনিয়ার এক দাদা অ্যামবুলেন্স নিয়ে
মাঝরাতে কলিংবেলের শব্দে ঘুম ভাঙল। দরজা খুলে অবাক। সদ্য চাকরিতে জয়েন করেছি।হাসপাতালের কাছাকাছি এক বাড়িতে ভাড়া থাকি। সেই মাঝরাতে খুব সিনিয়ার এক দাদা অ্যামবুলেন্স নিয়ে
-দাদু, আজ আবার ‘পারমিতার একদিন’। অনিমেষের চেম্বারে কিছুদিন হলো নয়না আসতে শুরু করেছে। কোথা থেকে একটা নার্সিং ট্রেনিং নিয়ে এসে বলেছিল, দাদু আপনার কাছে একটু
“কেমন বুঝছেন?” “এমনিতে তো সব ঠিকই আছে” “কোনো ভয় নেই তো ডাক্তারবাবু?” ব্যাস! অনিমেষ ডাক্তার একদম বোল্ড আউট। যে প্রশ্নটাকে আজকাল সবচেয়ে ভয় পায়, সেটাই
দু-মহলা রাজবাড়ীতে সাজ সাজ রব। আর মাত্র দু দিন। তারপরে রাজনন্দিনী যাত্রা করবে স্বয়ম্বর সভায়। রাজকুমারীকে ঘিরে সখীর দল শেষমুহূর্তের রূপটানে ব্যস্ত। এ রাজবাড়ীর দু-মহলেই
আশির দশক। আমরা বেশ কয়েকজন সদ্য হাউস স্টাফ শেষ করে বাইরের জগতে। সবাই হয় চাকরি নয়তো পি জি-র স্বপ্ন দেখছি। কারণ ততদিনে জেনে গেছি, অল্প
আমাদের ছাত্রাবস্থায় মেডিকেল কলেজগুলোয় কলকাতার সব দিকপাল জাঁদরেল ডাক্তাররা প্রফেসর ছিলেন। গাইনি ডিপার্টমেন্টে ছিলেন সেইরকম হাঁকডাকওলা ম্যাডামেরা। তবে তাঁদের অনেকেই ছিলেন আনম্যারেড। উত্তমকুমারের সিনেমাগুলোর চিত্রনাট্য
আজকের জরুরী মিটিং-এ সুবিমলবাবুও আমন্ত্রিত। বয়েস নব্বুই ছুঁইছুঁই। এখনো ঋজুভাবে হাঁটেন, কয়েকদিন আগে পর্যন্ত নিয়মিত পথে বেরোতেন। ইদানীং পথে-ঘাটে বাইক, টোটোর অবাধ গতিতে একটু সন্ত্রস্ত।
ঝড়ের বেগে চেম্বারের দরজা ঠেলে ঢুকলেন ভদ্রমহিলা। এমনিতে বেশ পরিপাটি কিন্তু এই মুহূর্তে অবিন্যস্ত আর অগোছালো। –ডাক্তার বাবু আমাকে একটু দেখতে হবে। প্রাথমিক ধাক্কা সামলে
নজরুল মঞ্চ। মুখ্যমন্ত্রীর প্রিয় স্হান। স্টেজে ২৬৩ বা তার অধিক কিছু চেয়ার। অনুষ্ঠান পরিচালনার ভার সি.এম. নিজের হাতে তুলে নিয়েছেন। এরকমই হয়। এইসব অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব
–‘বেড আর বিছানা কী এক?’ অনিমেষ ডাক্তারের মুখোমুখি ফিন্যান্স ডিপার্টমেন্ট-এর জয়েন্ট সেক্রেটারি। অনিমেষ তখন সরকারী চাকুরে। মফস্বলের ব্যস্ত হাসপাতালের ৩৪ টা বেড বাড়ানোর প্রচেষ্টায় ফাইলের
-‘ডাক্তারবাবু অপারেশনটা করবেন না।’ এ এক অন্য ধরনের পার্টি মিট। চারজন ডাক্তার গাছতলায় দাঁড়িয়ে থাকা একজন মাত্র পেসেন্ট পার্টিকে মিট করতে এসেছে। অনিমেষের মনে পড়ে
ফোনটা বাজছিল টেবিলের ওপর। অনিমেষ হাত বাড়িয়ে ধরল । এখন অধিকাংশ পেসেন্টকেই বলা আছে, ছোটো খাটো অসুবিধে হলে ফোন করতে। তাই বাড়ির সবচেয়ে বাজে ফোনটা
মাঝরাতে কলিংবেলের শব্দে ঘুম ভাঙল। দরজা খুলে অবাক। সদ্য চাকরিতে জয়েন করেছি।হাসপাতালের কাছাকাছি এক বাড়িতে ভাড়া থাকি। সেই মাঝরাতে খুব সিনিয়ার এক দাদা অ্যামবুলেন্স নিয়ে
-দাদু, আজ আবার ‘পারমিতার একদিন’। অনিমেষের চেম্বারে কিছুদিন হলো নয়না আসতে শুরু করেছে। কোথা থেকে একটা নার্সিং ট্রেনিং নিয়ে এসে বলেছিল, দাদু আপনার কাছে একটু
“কেমন বুঝছেন?” “এমনিতে তো সব ঠিকই আছে” “কোনো ভয় নেই তো ডাক্তারবাবু?” ব্যাস! অনিমেষ ডাক্তার একদম বোল্ড আউট। যে প্রশ্নটাকে আজকাল সবচেয়ে ভয় পায়, সেটাই
দু-মহলা রাজবাড়ীতে সাজ সাজ রব। আর মাত্র দু দিন। তারপরে রাজনন্দিনী যাত্রা করবে স্বয়ম্বর সভায়। রাজকুমারীকে ঘিরে সখীর দল শেষমুহূর্তের রূপটানে ব্যস্ত। এ রাজবাড়ীর দু-মহলেই
আশির দশক। আমরা বেশ কয়েকজন সদ্য হাউস স্টাফ শেষ করে বাইরের জগতে। সবাই হয় চাকরি নয়তো পি জি-র স্বপ্ন দেখছি। কারণ ততদিনে জেনে গেছি, অল্প
আমাদের ছাত্রাবস্থায় মেডিকেল কলেজগুলোয় কলকাতার সব দিকপাল জাঁদরেল ডাক্তাররা প্রফেসর ছিলেন। গাইনি ডিপার্টমেন্টে ছিলেন সেইরকম হাঁকডাকওলা ম্যাডামেরা। তবে তাঁদের অনেকেই ছিলেন আনম্যারেড। উত্তমকুমারের সিনেমাগুলোর চিত্রনাট্য
আজকের জরুরী মিটিং-এ সুবিমলবাবুও আমন্ত্রিত। বয়েস নব্বুই ছুঁইছুঁই। এখনো ঋজুভাবে হাঁটেন, কয়েকদিন আগে পর্যন্ত নিয়মিত পথে বেরোতেন। ইদানীং পথে-ঘাটে বাইক, টোটোর অবাধ গতিতে একটু সন্ত্রস্ত।
ঝড়ের বেগে চেম্বারের দরজা ঠেলে ঢুকলেন ভদ্রমহিলা। এমনিতে বেশ পরিপাটি কিন্তু এই মুহূর্তে অবিন্যস্ত আর অগোছালো। –ডাক্তার বাবু আমাকে একটু দেখতে হবে। প্রাথমিক ধাক্কা সামলে
নজরুল মঞ্চ। মুখ্যমন্ত্রীর প্রিয় স্হান। স্টেজে ২৬৩ বা তার অধিক কিছু চেয়ার। অনুষ্ঠান পরিচালনার ভার সি.এম. নিজের হাতে তুলে নিয়েছেন। এরকমই হয়। এইসব অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব
–‘বেড আর বিছানা কী এক?’ অনিমেষ ডাক্তারের মুখোমুখি ফিন্যান্স ডিপার্টমেন্ট-এর জয়েন্ট সেক্রেটারি। অনিমেষ তখন সরকারী চাকুরে। মফস্বলের ব্যস্ত হাসপাতালের ৩৪ টা বেড বাড়ানোর প্রচেষ্টায় ফাইলের
-‘ডাক্তারবাবু অপারেশনটা করবেন না।’ এ এক অন্য ধরনের পার্টি মিট। চারজন ডাক্তার গাছতলায় দাঁড়িয়ে থাকা একজন মাত্র পেসেন্ট পার্টিকে মিট করতে এসেছে। অনিমেষের মনে পড়ে
ফোনটা বাজছিল টেবিলের ওপর। অনিমেষ হাত বাড়িয়ে ধরল । এখন অধিকাংশ পেসেন্টকেই বলা আছে, ছোটো খাটো অসুবিধে হলে ফোন করতে। তাই বাড়ির সবচেয়ে বাজে ফোনটা
আমাদের লক্ষ্য সবার জন্য স্বাস্থ্য আর সবার জন্য চিকিৎসা পরিষেবা। আমাদের আশা, এই লক্ষ্যে ডাক্তার, স্বাস্থ্যকর্মী, রোগী ও আপামর মানুষ, স্বাস্থ্য ব্যবস্থার সমস্ত স্টেক হোল্ডারদের আলোচনা ও কর্মকাণ্ডের একটি মঞ্চ হয়ে উঠবে ডক্টরস ডায়ালগ।
Editorial Committee:
Dr. Punyabrata Gun
Dr. Jayanta Das
Dr. Chinmay Nath
Dr. Indranil Saha
Dr. Aindril Bhowmik
Executive Editor: Piyali Dey Biswas
Shramajibi Swasthya Udyog
HA 44, Salt Lake, Sector-3, Kolkata-700097
নীচে Justori র মাধ্যমে আমাদের সদস্য হন – নিজে বলুন আপনার প্রশ্ন, মতামত – সরাসরি উত্তর পান ডাক্তারের কাছ থেকে