দ্বিতীয় ঢেউ এর দিনগুলি ১২
যে ভাবে রাত কাটছে গীতায় আছে ‘ফলের আশা না করে কর্ম করে যাও’। আমরা তুচ্ছ খুপরিজীবি ডাক্তার। এইসব মহান বাণীকে আত্তিকরণ করতে পারিনি। কর্মের ফলাফল
যে ভাবে রাত কাটছে গীতায় আছে ‘ফলের আশা না করে কর্ম করে যাও’। আমরা তুচ্ছ খুপরিজীবি ডাক্তার। এইসব মহান বাণীকে আত্তিকরণ করতে পারিনি। কর্মের ফলাফল
মা- মাটি- মানুষ ভোর সাড়ে পাঁচটায় অ্যালার্ম দিয়ে উঠে পড়াশোনা করার আপ্রাণ চেষ্টা করছি। এক সম্পাদিকা দিদি একটি ওয়েব ম্যাগাজিনের জন্য করোনা নিয়ে তথ্যসমৃদ্ধ লেখা
বনগাঁ লোকালে ফিজিক্যাল ডিস্ট্যান্সিং খুপরিতে বসে বসে দিনগত পাপক্ষয় করছিলাম। সকলেই জ্বরের রোগী। সংখ্যাগুরুর চাপে অন্যসব রোগীরা নিরুদ্দেশ হয়ে গেছে। বাইরে মাঝেমাঝেই ঝগড়া বাঁধছে। সকলেরই
রোজা শুরু হতেই বমি আর পেটে ব্যথার রোগীরা হাজির হন। পয়লা বৈশাখের আগের দিন দুপুরে চেম্বার করছিলাম। আজ ভোট প্রচারের শেষ দিন। ঠাঁ ঠাঁ রোদ্দুরে
মহামারী বিষয়ে লোকজন এখনও ডিনায়াল পর্যায়ে রয়েছে। করোনা যে নিজের হতে পারে মেনে নিতে পারছে না। এক ভদ্রলোক চেম্বারে ঢুকে গুছিয়ে বসলেন, ‘ডাক্তারবাবু, একদম প্রথম
প্রথম ঢেউয়ের সময়ে করোনার কেস বেড়েছিল ধীরেসুস্থে। এবারে ঝড়ের গতিতে বাড়ছে। মানিয়ে গুছিয়ে নিতে সমস্যা হচ্ছে। আজ প্রায় অর্ধেকের বেশি রোগীই জ্বরের। কয়েকদিন আগেও বেশ
দেশে করোনা রোগীর সংখ্যা প্রথমবার এক লাখ ছাড়িয়েছে। পশ্চিমবঙ্গেও রোগীর সংখ্যা লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে। আগের বছর প্রথম ঢেউ এর সময় রোগীর সংখ্যা আস্তে আস্তে বেড়েছিল।
আমি নতুন করে লকডাউন এর ঘোরতর বিরুদ্ধে। আবার লকডাউন হলে মানুষের আর ভোগান্তির সীমা থাকবে না। আগের বছর লকডাউনের সময় সাধারণ মানুষের এত অসহায়তা দেখেছি,
পুরো ফেব্রুয়ারি মাস জুড়ে একটাও করোনার কেস পাইনি। মার্চের মাঝামাঝি থেকে আবার পেতে আরম্ভ করেছি। তারপর যত দিন যাচ্ছে, করোনার কেস বাড়ছে। শুধু গতকালই আমার
বাংলায় ভোটের খেলা চলছে। সকলে তাই নিয়েই ব্যতিব্যস্ত। তবে আমার মতোও কয়েকজন রয়েছে যাদের ভোট নিয়ে আগ্রহ নেই। খবরের কাগজ পড়া হয় না অনেকদিন, টিভি
অনেকদিন বাদে করোনার দিনগুলির স্মৃতি ফিরে আসছে। রাতে চেম্বার সেরে ঘরে ফেরার পর রোজই দু-তিনটে ফোন পাচ্ছি, ‘ডাক্তারবাবু, মানে ইয়েটা করতে দিয়েছিলেন না… ওটা পজিটিভ
কাকুর দোকানে বড় শান্তিতে রোগী দেখছিলাম। সাধারণত আমাদের মত খুপরিজীবি চিকিৎসকদের ভাগ্যে এতোটা শান্তি জোটেনা। রোগীরা পরপর আসছেন। সকলেরই সুগার প্রেশার কন্ট্রোলে। এক ভদ্রলোকের তেরোদিন
যে ভাবে রাত কাটছে গীতায় আছে ‘ফলের আশা না করে কর্ম করে যাও’। আমরা তুচ্ছ খুপরিজীবি ডাক্তার। এইসব মহান বাণীকে আত্তিকরণ করতে পারিনি। কর্মের ফলাফল
মা- মাটি- মানুষ ভোর সাড়ে পাঁচটায় অ্যালার্ম দিয়ে উঠে পড়াশোনা করার আপ্রাণ চেষ্টা করছি। এক সম্পাদিকা দিদি একটি ওয়েব ম্যাগাজিনের জন্য করোনা নিয়ে তথ্যসমৃদ্ধ লেখা
বনগাঁ লোকালে ফিজিক্যাল ডিস্ট্যান্সিং খুপরিতে বসে বসে দিনগত পাপক্ষয় করছিলাম। সকলেই জ্বরের রোগী। সংখ্যাগুরুর চাপে অন্যসব রোগীরা নিরুদ্দেশ হয়ে গেছে। বাইরে মাঝেমাঝেই ঝগড়া বাঁধছে। সকলেরই
রোজা শুরু হতেই বমি আর পেটে ব্যথার রোগীরা হাজির হন। পয়লা বৈশাখের আগের দিন দুপুরে চেম্বার করছিলাম। আজ ভোট প্রচারের শেষ দিন। ঠাঁ ঠাঁ রোদ্দুরে
মহামারী বিষয়ে লোকজন এখনও ডিনায়াল পর্যায়ে রয়েছে। করোনা যে নিজের হতে পারে মেনে নিতে পারছে না। এক ভদ্রলোক চেম্বারে ঢুকে গুছিয়ে বসলেন, ‘ডাক্তারবাবু, একদম প্রথম
প্রথম ঢেউয়ের সময়ে করোনার কেস বেড়েছিল ধীরেসুস্থে। এবারে ঝড়ের গতিতে বাড়ছে। মানিয়ে গুছিয়ে নিতে সমস্যা হচ্ছে। আজ প্রায় অর্ধেকের বেশি রোগীই জ্বরের। কয়েকদিন আগেও বেশ
দেশে করোনা রোগীর সংখ্যা প্রথমবার এক লাখ ছাড়িয়েছে। পশ্চিমবঙ্গেও রোগীর সংখ্যা লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে। আগের বছর প্রথম ঢেউ এর সময় রোগীর সংখ্যা আস্তে আস্তে বেড়েছিল।
আমি নতুন করে লকডাউন এর ঘোরতর বিরুদ্ধে। আবার লকডাউন হলে মানুষের আর ভোগান্তির সীমা থাকবে না। আগের বছর লকডাউনের সময় সাধারণ মানুষের এত অসহায়তা দেখেছি,
পুরো ফেব্রুয়ারি মাস জুড়ে একটাও করোনার কেস পাইনি। মার্চের মাঝামাঝি থেকে আবার পেতে আরম্ভ করেছি। তারপর যত দিন যাচ্ছে, করোনার কেস বাড়ছে। শুধু গতকালই আমার
বাংলায় ভোটের খেলা চলছে। সকলে তাই নিয়েই ব্যতিব্যস্ত। তবে আমার মতোও কয়েকজন রয়েছে যাদের ভোট নিয়ে আগ্রহ নেই। খবরের কাগজ পড়া হয় না অনেকদিন, টিভি
অনেকদিন বাদে করোনার দিনগুলির স্মৃতি ফিরে আসছে। রাতে চেম্বার সেরে ঘরে ফেরার পর রোজই দু-তিনটে ফোন পাচ্ছি, ‘ডাক্তারবাবু, মানে ইয়েটা করতে দিয়েছিলেন না… ওটা পজিটিভ
কাকুর দোকানে বড় শান্তিতে রোগী দেখছিলাম। সাধারণত আমাদের মত খুপরিজীবি চিকিৎসকদের ভাগ্যে এতোটা শান্তি জোটেনা। রোগীরা পরপর আসছেন। সকলেরই সুগার প্রেশার কন্ট্রোলে। এক ভদ্রলোকের তেরোদিন
আমাদের লক্ষ্য সবার জন্য স্বাস্থ্য আর সবার জন্য চিকিৎসা পরিষেবা। আমাদের আশা, এই লক্ষ্যে ডাক্তার, স্বাস্থ্যকর্মী, রোগী ও আপামর মানুষ, স্বাস্থ্য ব্যবস্থার সমস্ত স্টেক হোল্ডারদের আলোচনা ও কর্মকাণ্ডের একটি মঞ্চ হয়ে উঠবে ডক্টরস ডায়ালগ।
Editorial Committee:
Dr. Punyabrata Gun
Dr. Jayanta Das
Dr. Chinmay Nath
Dr. Indranil Saha
Dr. Aindril Bhowmik
Executive Editor: Piyali Dey Biswas
Shramajibi Swasthya Udyog
HA 44, Salt Lake, Sector-3, Kolkata-700097
নীচে Justori র মাধ্যমে আমাদের সদস্য হন – নিজে বলুন আপনার প্রশ্ন, মতামত – সরাসরি উত্তর পান ডাক্তারের কাছ থেকে