ডাক্তারির কথকতা- ৩
আমি হাড়ের ডাক্তার। অর্থোপেডিক রোগী দেখি। হাড়,অস্থিসন্ধি বা মেরুদন্ডে চোট নিয়ে রোগীরা আসে। ডাক্তার বা হাসপাতালে আসার আগে চোট পাওয়া অনেক রোগীই কিছুটা প্রাথমিক চিকিৎসা
আমি হাড়ের ডাক্তার। অর্থোপেডিক রোগী দেখি। হাড়,অস্থিসন্ধি বা মেরুদন্ডে চোট নিয়ে রোগীরা আসে। ডাক্তার বা হাসপাতালে আসার আগে চোট পাওয়া অনেক রোগীই কিছুটা প্রাথমিক চিকিৎসা
মামা নিজে একটা ওষুধের দোকান কেন দেয় না কে জানে! অবশ্য চেম্বারের বাইরে ছোট একটা ঘরে ডিস্পেন্সারি এখনো আছে। তবে সেটা নামেই। পুরনো কিছু শিশি-বোতল,
ড্রাইভার জগুর সাজগোজ আজ অন্যরকম। সাদা ধবধপে প্যান্ট শার্ট। কপালে তিলকের ফোঁটা। চাবি ঘুরিয়ে ষ্টার্ট দিতেই গাড়ীটা গরগর করে উঠল। ভাবলাম, যাক্ আজকের দিনটা গাড়ির
‘আমার লুঙ্গিটা আবার কোথায় গেল?’ উপরের ঘর থেকে গর্জন করছে মণিমামা। নীচে রান্নাঘর থেকে শান্তিমাসী পাল্টা গর্জে উঠল। “জানলা দিয়ে উড়ে গেছে। খুঁজে নাও।” আমি
‘মাতৃভাষায় ডাক্তারি’ পড়ার আড়ালে অহিন্দী ভাষীদের উপর সুচতুর কৌশলে হিন্দী ভাষা চাপিয়ে দেওয়ার যে চেষ্টা হচ্ছে- সে বিষয়ে এখন এখানে কিছু লিখছি না। শুধু কয়েকটা
‘ডাক্তারবাবু রোগীকে একটু বাইরে এসে দেখতে হবে।’ ঘর থেকে বেরিয়ে চেম্বারের চপ্পলটা ছেড়ে বাইরের জুতোটা পায়ে গলিয়ে নিলাম। উল্টোদিকে একটা মারুতি ভ্যান দাঁড়িয়ে আছে। তথাকথিত
বছর পঁয়তাল্লিশের ভদ্রলোক চেম্বারে ঢুকেই বললেন, ‘ওষুধপত্র বেশী লিখবেন না। কোভিডের পরে আর্থিক অবস্থা খুব খারাপ। কোনো টেষ্ট করতে দেবেন না। পারব না। ওষুধ আর
প্রত্নতত্ত্ব এক সরলমতি ইউরোপীয় বালক মিশরে বেড়াতে গিয়ে তার বাবাকে জিজ্ঞাসা করছে, ‘বাবা, মিশরে তো পিরামিড আছে। কিন্তু আমাদের দেশে নেই কেন?’ রসিক ভদ্রলোক উত্তরে
সাইকেল চোর অনেকদিন পরে রাস্তায় সাইকেল চোর দেখলাম। আজকাল টাকা দিয়ে কেনা সাইকেল আর ক’টা! তাও যে কয়েকটা আছে তার বেশীরভাগই রেসিং সাইকেল। আর নয়তো
‘ডাক্তারবাবু সিজারের সময় কোমরে ইঞ্জেকশন দিয়েছিল। তারপর থেকে আমার কোমরে ব্যথা।’ ‘ছেলে হওয়ার পর থেকে মাঝে মাঝেই পিঠে ব্যাথা হয়। মাস দুয়েক ধরে বাড়াবাড়ি হচ্ছে।’
এক অদ্ভুত নেশায় বুঁদ হয়ে আছি আমরা। অন্য সব নেশা এর কাছে নস্যি। নেশার নাম অন্তর্জাল, নেশার নাম আধুনিক মিডিয়া। এই নেশা পান বিড়ি, সিগারেট,
সিংহাসনে মাথা ঠুকবো না বলে ছেড়ে গেছি রাজবিলাস। খুদকুঁড়ো সই- বকলসে মাথা না গলাই। ‘স্বাধীনতা’। সে কি শুধু বিদেশী শাসন থেকে মুক্তি? ক্ষমতার পদতলে বসে
আমি হাড়ের ডাক্তার। অর্থোপেডিক রোগী দেখি। হাড়,অস্থিসন্ধি বা মেরুদন্ডে চোট নিয়ে রোগীরা আসে। ডাক্তার বা হাসপাতালে আসার আগে চোট পাওয়া অনেক রোগীই কিছুটা প্রাথমিক চিকিৎসা
মামা নিজে একটা ওষুধের দোকান কেন দেয় না কে জানে! অবশ্য চেম্বারের বাইরে ছোট একটা ঘরে ডিস্পেন্সারি এখনো আছে। তবে সেটা নামেই। পুরনো কিছু শিশি-বোতল,
ড্রাইভার জগুর সাজগোজ আজ অন্যরকম। সাদা ধবধপে প্যান্ট শার্ট। কপালে তিলকের ফোঁটা। চাবি ঘুরিয়ে ষ্টার্ট দিতেই গাড়ীটা গরগর করে উঠল। ভাবলাম, যাক্ আজকের দিনটা গাড়ির
‘আমার লুঙ্গিটা আবার কোথায় গেল?’ উপরের ঘর থেকে গর্জন করছে মণিমামা। নীচে রান্নাঘর থেকে শান্তিমাসী পাল্টা গর্জে উঠল। “জানলা দিয়ে উড়ে গেছে। খুঁজে নাও।” আমি
‘মাতৃভাষায় ডাক্তারি’ পড়ার আড়ালে অহিন্দী ভাষীদের উপর সুচতুর কৌশলে হিন্দী ভাষা চাপিয়ে দেওয়ার যে চেষ্টা হচ্ছে- সে বিষয়ে এখন এখানে কিছু লিখছি না। শুধু কয়েকটা
‘ডাক্তারবাবু রোগীকে একটু বাইরে এসে দেখতে হবে।’ ঘর থেকে বেরিয়ে চেম্বারের চপ্পলটা ছেড়ে বাইরের জুতোটা পায়ে গলিয়ে নিলাম। উল্টোদিকে একটা মারুতি ভ্যান দাঁড়িয়ে আছে। তথাকথিত
বছর পঁয়তাল্লিশের ভদ্রলোক চেম্বারে ঢুকেই বললেন, ‘ওষুধপত্র বেশী লিখবেন না। কোভিডের পরে আর্থিক অবস্থা খুব খারাপ। কোনো টেষ্ট করতে দেবেন না। পারব না। ওষুধ আর
প্রত্নতত্ত্ব এক সরলমতি ইউরোপীয় বালক মিশরে বেড়াতে গিয়ে তার বাবাকে জিজ্ঞাসা করছে, ‘বাবা, মিশরে তো পিরামিড আছে। কিন্তু আমাদের দেশে নেই কেন?’ রসিক ভদ্রলোক উত্তরে
সাইকেল চোর অনেকদিন পরে রাস্তায় সাইকেল চোর দেখলাম। আজকাল টাকা দিয়ে কেনা সাইকেল আর ক’টা! তাও যে কয়েকটা আছে তার বেশীরভাগই রেসিং সাইকেল। আর নয়তো
‘ডাক্তারবাবু সিজারের সময় কোমরে ইঞ্জেকশন দিয়েছিল। তারপর থেকে আমার কোমরে ব্যথা।’ ‘ছেলে হওয়ার পর থেকে মাঝে মাঝেই পিঠে ব্যাথা হয়। মাস দুয়েক ধরে বাড়াবাড়ি হচ্ছে।’
এক অদ্ভুত নেশায় বুঁদ হয়ে আছি আমরা। অন্য সব নেশা এর কাছে নস্যি। নেশার নাম অন্তর্জাল, নেশার নাম আধুনিক মিডিয়া। এই নেশা পান বিড়ি, সিগারেট,
সিংহাসনে মাথা ঠুকবো না বলে ছেড়ে গেছি রাজবিলাস। খুদকুঁড়ো সই- বকলসে মাথা না গলাই। ‘স্বাধীনতা’। সে কি শুধু বিদেশী শাসন থেকে মুক্তি? ক্ষমতার পদতলে বসে
আমাদের লক্ষ্য সবার জন্য স্বাস্থ্য আর সবার জন্য চিকিৎসা পরিষেবা। আমাদের আশা, এই লক্ষ্যে ডাক্তার, স্বাস্থ্যকর্মী, রোগী ও আপামর মানুষ, স্বাস্থ্য ব্যবস্থার সমস্ত স্টেক হোল্ডারদের আলোচনা ও কর্মকাণ্ডের একটি মঞ্চ হয়ে উঠবে ডক্টরস ডায়ালগ।
Editorial Committee:
Dr. Punyabrata Gun
Dr. Jayanta Das
Dr. Chinmay Nath
Dr. Indranil Saha
Dr. Aindril Bhowmik
Executive Editor: Piyali Dey Biswas
Shramajibi Swasthya Udyog
HA 44, Salt Lake, Sector-3, Kolkata-700097
নীচে Justori র মাধ্যমে আমাদের সদস্য হন – নিজে বলুন আপনার প্রশ্ন, মতামত – সরাসরি উত্তর পান ডাক্তারের কাছ থেকে