নিরীহাসুরের করোনা কোলাজ
এক কানে হেডফোন চিপকে ‘ফ্রেন্ডস’ কিংবা ‘দা বিগ ব্যাং থিওরি’ দেখি যখন, অথবা চোখ বুজে শুনি রফি সাহাব, আখতারী কিংবা শচীন কত্তা, তখন চারপাশটায় আমার
এক কানে হেডফোন চিপকে ‘ফ্রেন্ডস’ কিংবা ‘দা বিগ ব্যাং থিওরি’ দেখি যখন, অথবা চোখ বুজে শুনি রফি সাহাব, আখতারী কিংবা শচীন কত্তা, তখন চারপাশটায় আমার
দু হাজার আট সালের মার্চ মাসের কোনো এক সন্ধ্যায় কোয়ার্টারটিতে যখন প্রথমবারের জন্য পা রাখলাম আমি, তখনও বিষয়টা খেয়াল করিনি মোটেই। একে তো এটা, সরকারি
আমার এক বান্ধবী বছর খানিক আগে ফোন করেছিল আমেরিকা থেকে—“শোনো না, মাকে একটু পাঠাবো তোমার হাসপাতালে। দু পাতা জ্বর সর্দির এন্টিবায়োটিক দিয়ে দিয়ো। আমাদের এক
ঠাকুর বলদেও সিং বলেছিলেন একদা দাঁতে দাঁত চিপে। বলেছিলেন–“লোহা গরম হ্যায়। মার দো হাথোড়া।” সম্মুখে দন্ডায়মান তখন জয় এবং বীরু নামের দুই মক্কেল। জমজমাট সিন।
এই মুহূর্তের দুনিয়া কাঁপানো ঘটনাটার শুরুয়াৎ হয়েছিল ২০১৯- এর নিউ ইয়ার্স ইভ-এ। অর্থাৎ, দিনটা ছিল, দু হাজার উনিশ সালের ক্যালেন্ডারের শেষ দিনটি। ৩১ শে ডিসেম্বর,
লোকটা ডেকেছিল “বাবাজী” বলে। তখন সদ্য রাউন্ড শেষ করে আউটডোর রুমে ফিরে এসেছি আমি। আমার হেলমেট, আমার স্কুটির চাবি, আমার পাৎলা উইন্ডচিটার,আর আমার বিবিধ খুচরো
লেখাটা মারাত্মক বড়ো। পড়তে নাও ইচ্ছে হতে পারে। তবুও পড়ুন। বিশ্বাস করুন, পড়লে, হয়তো আপনার প্রাণ বেঁচে যাবে। কারণ, প্রতি কুড়ি সেকেন্ডে একজন টিবি রোগী
যেকোনো ফাঁকা জায়গায় যেমন হয়। বাউন্ডারী ঘেরা। সরকারি। ঝোপ জঙ্গল গজিয়ে ওঠে আনাচ কাণাচ ঘিরে। এখানে ওখানে লম্বা ঝাঁটায় জমা করে রাখা শুকনো পাতার স্তুপ।
মুহুর্মুহু গাড্ডায় পড়ে, গাড়িটা লাফাচ্ছিল বেজায় রকমের। সঙ্গে, গাড়িরই ফাটা সাউন্ডবক্সে তুমুল আর্তনাদ–” ডান্স ডান্স ডান্স ডান্স! আরে পাগলু ডান্স..!” ড্রাইভাররূপী বিরাজদার যদিও তাতে ভ্রুক্ষেপ
(এ লেখাটা বেশ কয়েক মাস আগের। সেসময় বড্ডো অকারন মনকেমনে ভুগছিলাম আমি। সেই মনকেমন কাটাতেই কলম ধরেছিলাম। তারপর সে লেখা চাপা পড়ে গিছলো উচ্ছল সব
ফিমেল ওয়ার্ডে সেবার হেবি ক্যাচাল। ক্যাচাল অবশ্য আমার হাসপাতালে নতুন কিছু নয়। বেশ কিছু রোগী এখানে দেড়-দুই মাস ভর্তি থাকে একটানা। কাপড়ের থলে, স্টিলের থালা,
এক কানে হেডফোন চিপকে ‘ফ্রেন্ডস’ কিংবা ‘দা বিগ ব্যাং থিওরি’ দেখি যখন, অথবা চোখ বুজে শুনি রফি সাহাব, আখতারী কিংবা শচীন কত্তা, তখন চারপাশটায় আমার
দু হাজার আট সালের মার্চ মাসের কোনো এক সন্ধ্যায় কোয়ার্টারটিতে যখন প্রথমবারের জন্য পা রাখলাম আমি, তখনও বিষয়টা খেয়াল করিনি মোটেই। একে তো এটা, সরকারি
আমার এক বান্ধবী বছর খানিক আগে ফোন করেছিল আমেরিকা থেকে—“শোনো না, মাকে একটু পাঠাবো তোমার হাসপাতালে। দু পাতা জ্বর সর্দির এন্টিবায়োটিক দিয়ে দিয়ো। আমাদের এক
ঠাকুর বলদেও সিং বলেছিলেন একদা দাঁতে দাঁত চিপে। বলেছিলেন–“লোহা গরম হ্যায়। মার দো হাথোড়া।” সম্মুখে দন্ডায়মান তখন জয় এবং বীরু নামের দুই মক্কেল। জমজমাট সিন।
এই মুহূর্তের দুনিয়া কাঁপানো ঘটনাটার শুরুয়াৎ হয়েছিল ২০১৯- এর নিউ ইয়ার্স ইভ-এ। অর্থাৎ, দিনটা ছিল, দু হাজার উনিশ সালের ক্যালেন্ডারের শেষ দিনটি। ৩১ শে ডিসেম্বর,
লোকটা ডেকেছিল “বাবাজী” বলে। তখন সদ্য রাউন্ড শেষ করে আউটডোর রুমে ফিরে এসেছি আমি। আমার হেলমেট, আমার স্কুটির চাবি, আমার পাৎলা উইন্ডচিটার,আর আমার বিবিধ খুচরো
লেখাটা মারাত্মক বড়ো। পড়তে নাও ইচ্ছে হতে পারে। তবুও পড়ুন। বিশ্বাস করুন, পড়লে, হয়তো আপনার প্রাণ বেঁচে যাবে। কারণ, প্রতি কুড়ি সেকেন্ডে একজন টিবি রোগী
যেকোনো ফাঁকা জায়গায় যেমন হয়। বাউন্ডারী ঘেরা। সরকারি। ঝোপ জঙ্গল গজিয়ে ওঠে আনাচ কাণাচ ঘিরে। এখানে ওখানে লম্বা ঝাঁটায় জমা করে রাখা শুকনো পাতার স্তুপ।
মুহুর্মুহু গাড্ডায় পড়ে, গাড়িটা লাফাচ্ছিল বেজায় রকমের। সঙ্গে, গাড়িরই ফাটা সাউন্ডবক্সে তুমুল আর্তনাদ–” ডান্স ডান্স ডান্স ডান্স! আরে পাগলু ডান্স..!” ড্রাইভাররূপী বিরাজদার যদিও তাতে ভ্রুক্ষেপ
(এ লেখাটা বেশ কয়েক মাস আগের। সেসময় বড্ডো অকারন মনকেমনে ভুগছিলাম আমি। সেই মনকেমন কাটাতেই কলম ধরেছিলাম। তারপর সে লেখা চাপা পড়ে গিছলো উচ্ছল সব
ফিমেল ওয়ার্ডে সেবার হেবি ক্যাচাল। ক্যাচাল অবশ্য আমার হাসপাতালে নতুন কিছু নয়। বেশ কিছু রোগী এখানে দেড়-দুই মাস ভর্তি থাকে একটানা। কাপড়ের থলে, স্টিলের থালা,
আমাদের লক্ষ্য সবার জন্য স্বাস্থ্য আর সবার জন্য চিকিৎসা পরিষেবা। আমাদের আশা, এই লক্ষ্যে ডাক্তার, স্বাস্থ্যকর্মী, রোগী ও আপামর মানুষ, স্বাস্থ্য ব্যবস্থার সমস্ত স্টেক হোল্ডারদের আলোচনা ও কর্মকাণ্ডের একটি মঞ্চ হয়ে উঠবে ডক্টরস ডায়ালগ।
Editorial Committee:
Dr. Punyabrata Gun
Dr. Jayanta Das
Dr. Chinmay Nath
Dr. Indranil Saha
Dr. Aindril Bhowmik
Executive Editor: Piyali Dey Biswas
Shramajibi Swasthya Udyog
HA 44, Salt Lake, Sector-3, Kolkata-700097
নীচে Justori র মাধ্যমে আমাদের সদস্য হন – নিজে বলুন আপনার প্রশ্ন, মতামত – সরাসরি উত্তর পান ডাক্তারের কাছ থেকে