করোনার দিনগুলি ২০
আজ সবচেয়ে বেশি সংখ্যক প্যানিক এটাকের রোগী দেখলাম। গতকাল ১০ নম্বর ওয়ার্ড কে পুরোপুরি আইসোলেটেড করার পর মধ্যমগ্রামের মানুষের মধ্যে ভীতি আরও বেড়েছে। অদ্ভুত ভাবে
আজ সবচেয়ে বেশি সংখ্যক প্যানিক এটাকের রোগী দেখলাম। গতকাল ১০ নম্বর ওয়ার্ড কে পুরোপুরি আইসোলেটেড করার পর মধ্যমগ্রামের মানুষের মধ্যে ভীতি আরও বেড়েছে। অদ্ভুত ভাবে
বরুণবাবু গোছানো মানুষ। তিনি চাকরি জীবনের শুরু থেকেই অবসর পরবর্তী জীবনের কথা ভেবেছেন। তিনি জানতেন, যা পেনশন পাবেন, তাতে খাওয়া দাওয়ার বিশেষ অসুবিধা হবে না।
আমার এক স্কুলের বন্ধুর আজ হেব্বি আনন্দ হয়েছিল। তবে বর্তমানে কি অবস্থায় আছে জানিনা। বেচারা লক ডাউনের পর থেকেই মুচড়ে পড়েছিল আর মাঝে মাঝেই মুখ্যমন্ত্রীকে
এই ক্ষুদ্র তুচ্ছ চিকিৎসক জীবনে আমি যে একটা প্যানডেমিক দেখে যেতে পারব, এবং সেই প্যানডেমিকের সময়েও কাজ করতে পারব, স্বপ্নেও ভাবিনি। যদি মহামারী শেষে বেঁচে
চারিদিকে শুধু গুজব। মহামারীর সুযোগে গুজব হুহু করে ছড়িয়ে পড়ছে। কোনটা যে আসল খবর, কোনটা গুজব বোঝা অসম্ভব হয়ে যাচ্ছে। একজন কাউন্সিলার জ্বর নিয়ে আই
আজকের দিনটা বেশ ঘটনাবহুল। একটুর জন্য কোয়ারাণ্টাইনে যেতে যেতে বেঁচে গেলাম। গতকাল সকালে একজন পরিচিত ফোন করেছিলেন, মধ্যমগ্রামেরই এক অতি পরিচিত অসুস্থ মানুষকে দেখার জন্য।
করোনা ছোঁয়াচে, করোনাতঙ্ক তার চেয়েও বেশি ছোঁয়াচে। এক পরিবারের চারজন এসেছেন। বাবা, মা এবং তাঁদের দুই ছেলে মেয়ে। বাবা, মায়ের বয়স চল্লিশের মধ্যে। ছেলের ষোলো
এতো দিন ফোনে রোগীর কথাবার্তা বিশেষ শুনতাম না। দু’চার কথা শোনার পরই বলতাম, খারাপ রোগী দেখছি। আপনি প্রেসক্রিপশান নিয়ে যোগাযোগ করুন। ফোনে ওষুধ বলা যাবে
আমি খুবই ভীতু মানুষ। তাই আর বিতর্কিত বিষয়ে যাব না। ইতিমধ্যেই স্বাস্থ্যকর্মীদের PPE নিয়ে গলা ফাটানোর জন্য এক ডাক্তারবাবুকে পুলিশের হাতে নাকাল হতে হয়েছে। অতএব
লকডাউনের আজ সপ্তম দিন। একটু পিছনে ফিরে দেখে নি, এই এক সপ্তাহে আমি কি জানলাম, কি শিখলাম। ১. হাইপোক্লোরাইট সলিউশান দিয়ে শ্রমিকদের শোধন করাঃ জানতাম
আমি মানসিক রোগের চিকিৎসক নই। তবু বুঝতে অসুবিধা হচ্ছে না, এই দুঃসময়েও যারা বাধ্য হয়ে ডাক্তার দেখাতে আসছেন, তাঁরা অনেকেই আতংক, হতাশা ইত্যাদি নানারকম মানসিক
ছবিতে মুখগুলো দেখে থমকে গেলাম। এনারা শ্রমিক বা দিন মজুর। কাজের সূত্রে বাড়ি থেকে অনেক দূরের ভিন রাজ্যের শহরে থাকেন। কেউ একা, কেউ পরিবার সহ।
আজ সবচেয়ে বেশি সংখ্যক প্যানিক এটাকের রোগী দেখলাম। গতকাল ১০ নম্বর ওয়ার্ড কে পুরোপুরি আইসোলেটেড করার পর মধ্যমগ্রামের মানুষের মধ্যে ভীতি আরও বেড়েছে। অদ্ভুত ভাবে
বরুণবাবু গোছানো মানুষ। তিনি চাকরি জীবনের শুরু থেকেই অবসর পরবর্তী জীবনের কথা ভেবেছেন। তিনি জানতেন, যা পেনশন পাবেন, তাতে খাওয়া দাওয়ার বিশেষ অসুবিধা হবে না।
আমার এক স্কুলের বন্ধুর আজ হেব্বি আনন্দ হয়েছিল। তবে বর্তমানে কি অবস্থায় আছে জানিনা। বেচারা লক ডাউনের পর থেকেই মুচড়ে পড়েছিল আর মাঝে মাঝেই মুখ্যমন্ত্রীকে
এই ক্ষুদ্র তুচ্ছ চিকিৎসক জীবনে আমি যে একটা প্যানডেমিক দেখে যেতে পারব, এবং সেই প্যানডেমিকের সময়েও কাজ করতে পারব, স্বপ্নেও ভাবিনি। যদি মহামারী শেষে বেঁচে
চারিদিকে শুধু গুজব। মহামারীর সুযোগে গুজব হুহু করে ছড়িয়ে পড়ছে। কোনটা যে আসল খবর, কোনটা গুজব বোঝা অসম্ভব হয়ে যাচ্ছে। একজন কাউন্সিলার জ্বর নিয়ে আই
আজকের দিনটা বেশ ঘটনাবহুল। একটুর জন্য কোয়ারাণ্টাইনে যেতে যেতে বেঁচে গেলাম। গতকাল সকালে একজন পরিচিত ফোন করেছিলেন, মধ্যমগ্রামেরই এক অতি পরিচিত অসুস্থ মানুষকে দেখার জন্য।
করোনা ছোঁয়াচে, করোনাতঙ্ক তার চেয়েও বেশি ছোঁয়াচে। এক পরিবারের চারজন এসেছেন। বাবা, মা এবং তাঁদের দুই ছেলে মেয়ে। বাবা, মায়ের বয়স চল্লিশের মধ্যে। ছেলের ষোলো
এতো দিন ফোনে রোগীর কথাবার্তা বিশেষ শুনতাম না। দু’চার কথা শোনার পরই বলতাম, খারাপ রোগী দেখছি। আপনি প্রেসক্রিপশান নিয়ে যোগাযোগ করুন। ফোনে ওষুধ বলা যাবে
আমি খুবই ভীতু মানুষ। তাই আর বিতর্কিত বিষয়ে যাব না। ইতিমধ্যেই স্বাস্থ্যকর্মীদের PPE নিয়ে গলা ফাটানোর জন্য এক ডাক্তারবাবুকে পুলিশের হাতে নাকাল হতে হয়েছে। অতএব
লকডাউনের আজ সপ্তম দিন। একটু পিছনে ফিরে দেখে নি, এই এক সপ্তাহে আমি কি জানলাম, কি শিখলাম। ১. হাইপোক্লোরাইট সলিউশান দিয়ে শ্রমিকদের শোধন করাঃ জানতাম
আমি মানসিক রোগের চিকিৎসক নই। তবু বুঝতে অসুবিধা হচ্ছে না, এই দুঃসময়েও যারা বাধ্য হয়ে ডাক্তার দেখাতে আসছেন, তাঁরা অনেকেই আতংক, হতাশা ইত্যাদি নানারকম মানসিক
ছবিতে মুখগুলো দেখে থমকে গেলাম। এনারা শ্রমিক বা দিন মজুর। কাজের সূত্রে বাড়ি থেকে অনেক দূরের ভিন রাজ্যের শহরে থাকেন। কেউ একা, কেউ পরিবার সহ।
আমাদের লক্ষ্য সবার জন্য স্বাস্থ্য আর সবার জন্য চিকিৎসা পরিষেবা। আমাদের আশা, এই লক্ষ্যে ডাক্তার, স্বাস্থ্যকর্মী, রোগী ও আপামর মানুষ, স্বাস্থ্য ব্যবস্থার সমস্ত স্টেক হোল্ডারদের আলোচনা ও কর্মকাণ্ডের একটি মঞ্চ হয়ে উঠবে ডক্টরস ডায়ালগ।
Editorial Committee:
Dr. Punyabrata Gun
Dr. Jayanta Das
Dr. Chinmay Nath
Dr. Indranil Saha
Dr. Aindril Bhowmik
Executive Editor: Piyali Dey Biswas
Shramajibi Swasthya Udyog
HA 44, Salt Lake, Sector-3, Kolkata-700097
নীচে Justori র মাধ্যমে আমাদের সদস্য হন – নিজে বলুন আপনার প্রশ্ন, মতামত – সরাসরি উত্তর পান ডাক্তারের কাছ থেকে