করোনার দিনগুলি ৬৩
ক্রমশ অবসাদ গ্রাস করছে। অবসাদ থেকে নিজেকে বাঁচানোর জন্য অনেকদিনই টিভি দেখা, সংবাদ পত্র পড়া ছেড়ে দিয়েছি। তবু কিছু কিছু খবর এড়িয়ে যেতে পারিনা। ডা.
ক্রমশ অবসাদ গ্রাস করছে। অবসাদ থেকে নিজেকে বাঁচানোর জন্য অনেকদিনই টিভি দেখা, সংবাদ পত্র পড়া ছেড়ে দিয়েছি। তবু কিছু কিছু খবর এড়িয়ে যেতে পারিনা। ডা.
কোভিড ১৯ পরীক্ষা করানো এখন অনেক সহজ হয়েছে। কয়েকদিন আগেও আমরা যারা বেসরকারি চিকিৎসক, চাইলেই করোনা পরীক্ষা করাতে পারতাম না। পরীক্ষা হতো খুব অল্প জায়গায়।
আজকাল আর আড্ডা দেওয়া হয় না। আমার আড্ডা দেওয়ার মানুষ বলতে তো রোগীরাই। এমনিতে এখন বেশিরভাগই জ্বরের রোগী। এবং রোজ তার মধ্যে জনা দশেকের করোনা
টাকা থাকলেই বড়োলোক হওয়া যায় না। বড়োলোক হওয়ার জন্য বড়ো হৃদয়ও দরকার। এমনকি টাকা পয়সার অভাব থাকা স্বত্বেও শুধু হৃদয়ের জোরেও বড়োলোক কম দেখলাম না,
মন মেজাজ অত্যন্ত খারাপ। চারদিক থেকে চিকিৎসক সহকর্মীদের মৃত্যুর খবর আসছে। যাঁকে চিনতাম, শ্রদ্ধা করতাম, সেই হঠাৎ করে নেই হয়ে যাচ্ছেন। তাছাড়া একঘেঁয়েমিও আসছে। দিনের
অভিনেতা রুদ্রনীলবাবু লিখেছেন, “হয়ত একদিন কিছু মানুষ,ধৈর্যের বাঁধ ভেঙ্গে.. দলমত জাতধর্ম ভুলে কিছু রক্তচোষা বেসরকারি হাসপাতাল ভাঙ্গবে। মালিকরা নিজের হাসপাতালে ভর্তিরও সময় পাবেন না! কাঠের
এবার করোনা রোগীরা সুস্থ হয়ে চেম্বারে ফিরে আসছেন। সরকারি নিয়ম অনুযায়ী এখন আর রিপিট করোনা পরীক্ষা করার দরকার নেই। চিকিৎসক সুস্থ বলে সার্টিফিকেট দিলেই তিনি
রোজ একাধিক রোগীর করোনার রিপোর্ট পজিটিভ আসছে। অবশ্য ডায়াগনোসিস হচ্ছে না তার চেয়ে বেশি রোগীর। যাঁদের চার পাঁচ দিনে জ্বর কমে যাচ্ছে, তাঁরা কেউই টেস্ট
গোনা ছেড়ে দিয়েছি। মাঝেমাঝেই ফোন পাচ্ছি, ‘ডাক্তারবাবু, করোনার রিপোর্ট পজিটিভ এসেছে। কি করব?’ খবর নিচ্ছি জ্বর কমেছে কিনা। তাঁর কোন শারীরিক অসুবিধা আছে কিনা। সুগার,
শেষ তিন- চার দিন ধরে ফোন পাচ্ছি। লোকজন বেশ সংকোচের সাথে জিজ্ঞাসা করছেন, ‘ডাক্তারবাবু আপনার কি কিছু হয়েছে?’ ‘কিছু হয়েছে মানে?’ ‘মানে শুনলাম… ইয়ে…. এখানে
সেই মার্চ মাস থেকে একটানা রোগী দেখে যাচ্ছি, দেখেই যাচ্ছি। বাড়িতে মেয়েদের কাছাকাছি ঘেঁষতে পারিনা। মন মেজাজ অত্যন্ত খারাপ। তার উপর রোগীও যদি মশকরা করে…..
কাল লকডাউনে রাস্তাঘাট ছিল শুনশান। লকডাউন সফল করার জন্য প্রশাসনকে তেমন কোন কষ্ট করতে হয়নি। মানুষ আতঙ্কে ঘর থেকে বেরোয়নি। আতঙ্কিত হওয়ার কারণও আছে। গত
ক্রমশ অবসাদ গ্রাস করছে। অবসাদ থেকে নিজেকে বাঁচানোর জন্য অনেকদিনই টিভি দেখা, সংবাদ পত্র পড়া ছেড়ে দিয়েছি। তবু কিছু কিছু খবর এড়িয়ে যেতে পারিনা। ডা.
কোভিড ১৯ পরীক্ষা করানো এখন অনেক সহজ হয়েছে। কয়েকদিন আগেও আমরা যারা বেসরকারি চিকিৎসক, চাইলেই করোনা পরীক্ষা করাতে পারতাম না। পরীক্ষা হতো খুব অল্প জায়গায়।
আজকাল আর আড্ডা দেওয়া হয় না। আমার আড্ডা দেওয়ার মানুষ বলতে তো রোগীরাই। এমনিতে এখন বেশিরভাগই জ্বরের রোগী। এবং রোজ তার মধ্যে জনা দশেকের করোনা
টাকা থাকলেই বড়োলোক হওয়া যায় না। বড়োলোক হওয়ার জন্য বড়ো হৃদয়ও দরকার। এমনকি টাকা পয়সার অভাব থাকা স্বত্বেও শুধু হৃদয়ের জোরেও বড়োলোক কম দেখলাম না,
মন মেজাজ অত্যন্ত খারাপ। চারদিক থেকে চিকিৎসক সহকর্মীদের মৃত্যুর খবর আসছে। যাঁকে চিনতাম, শ্রদ্ধা করতাম, সেই হঠাৎ করে নেই হয়ে যাচ্ছেন। তাছাড়া একঘেঁয়েমিও আসছে। দিনের
অভিনেতা রুদ্রনীলবাবু লিখেছেন, “হয়ত একদিন কিছু মানুষ,ধৈর্যের বাঁধ ভেঙ্গে.. দলমত জাতধর্ম ভুলে কিছু রক্তচোষা বেসরকারি হাসপাতাল ভাঙ্গবে। মালিকরা নিজের হাসপাতালে ভর্তিরও সময় পাবেন না! কাঠের
এবার করোনা রোগীরা সুস্থ হয়ে চেম্বারে ফিরে আসছেন। সরকারি নিয়ম অনুযায়ী এখন আর রিপিট করোনা পরীক্ষা করার দরকার নেই। চিকিৎসক সুস্থ বলে সার্টিফিকেট দিলেই তিনি
রোজ একাধিক রোগীর করোনার রিপোর্ট পজিটিভ আসছে। অবশ্য ডায়াগনোসিস হচ্ছে না তার চেয়ে বেশি রোগীর। যাঁদের চার পাঁচ দিনে জ্বর কমে যাচ্ছে, তাঁরা কেউই টেস্ট
গোনা ছেড়ে দিয়েছি। মাঝেমাঝেই ফোন পাচ্ছি, ‘ডাক্তারবাবু, করোনার রিপোর্ট পজিটিভ এসেছে। কি করব?’ খবর নিচ্ছি জ্বর কমেছে কিনা। তাঁর কোন শারীরিক অসুবিধা আছে কিনা। সুগার,
শেষ তিন- চার দিন ধরে ফোন পাচ্ছি। লোকজন বেশ সংকোচের সাথে জিজ্ঞাসা করছেন, ‘ডাক্তারবাবু আপনার কি কিছু হয়েছে?’ ‘কিছু হয়েছে মানে?’ ‘মানে শুনলাম… ইয়ে…. এখানে
সেই মার্চ মাস থেকে একটানা রোগী দেখে যাচ্ছি, দেখেই যাচ্ছি। বাড়িতে মেয়েদের কাছাকাছি ঘেঁষতে পারিনা। মন মেজাজ অত্যন্ত খারাপ। তার উপর রোগীও যদি মশকরা করে…..
কাল লকডাউনে রাস্তাঘাট ছিল শুনশান। লকডাউন সফল করার জন্য প্রশাসনকে তেমন কোন কষ্ট করতে হয়নি। মানুষ আতঙ্কে ঘর থেকে বেরোয়নি। আতঙ্কিত হওয়ার কারণও আছে। গত
আমাদের লক্ষ্য সবার জন্য স্বাস্থ্য আর সবার জন্য চিকিৎসা পরিষেবা। আমাদের আশা, এই লক্ষ্যে ডাক্তার, স্বাস্থ্যকর্মী, রোগী ও আপামর মানুষ, স্বাস্থ্য ব্যবস্থার সমস্ত স্টেক হোল্ডারদের আলোচনা ও কর্মকাণ্ডের একটি মঞ্চ হয়ে উঠবে ডক্টরস ডায়ালগ।
Editorial Committee:
Dr. Punyabrata Gun
Dr. Jayanta Das
Dr. Chinmay Nath
Dr. Indranil Saha
Dr. Aindril Bhowmik
Executive Editor: Piyali Dey Biswas
Shramajibi Swasthya Udyog
HA 44, Salt Lake, Sector-3, Kolkata-700097
নীচে Justori র মাধ্যমে আমাদের সদস্য হন – নিজে বলুন আপনার প্রশ্ন, মতামত – সরাসরি উত্তর পান ডাক্তারের কাছ থেকে