এই লড়াই বিফলে যাবে না।
গতকাল বিকেলের আগে কাউন্সিল অফিসের দিকে যেতে পারিনি। বিকেলের দিকে যাওয়াটাও সহজ ছিল না, কিন্তু না যেতে পেরে মনটা বড় ছটফট করছিল। অগত্যা… ভাগ্যিশ গেছিলাম!
গতকাল বিকেলের আগে কাউন্সিল অফিসের দিকে যেতে পারিনি। বিকেলের দিকে যাওয়াটাও সহজ ছিল না, কিন্তু না যেতে পেরে মনটা বড় ছটফট করছিল। অগত্যা… ভাগ্যিশ গেছিলাম!
এ বছর সাহিত্যে নোবেল পুরস্কার ঘোষণার পরপরই খবর ঘোরাফেরা করছিল, তারাশঙ্কর বন্দ্যোপাধ্যায়ের নাম নাকি নোবেল সাহিত্য পুরস্কারের জন্য বিবেচিত হচ্ছিল, বছর পঞ্চাশেক আগে। কিন্তু তারাশঙ্কর
রাত বারোটা বাজতে চলল। ক্যালেন্ডারে তারিখ বদলে যেতে আর সামান্যই বাকি। আমরা আছি। মেডিকেল কাউন্সিলের সামনে। পাহারায়। অতন্দ্র প্রহরী ইত্যাদি শব্দবন্ধ ব্যবহার করা-ই যেত, কিন্তু
আগামী দিনকয়েক (মানে ভোটের দিনগুলো এবং ভোটগণনার দিনগুলো) পালা করে চব্বিশ ঘণ্টা মেডিকেল কাউন্সিল অফিস পাহারা দিতে হবে। দেওয়া হবে। অনেকেই আসছেন। জনা পনের এমন
গভীর রাত। কলকাতার উপকণ্ঠে এই নগরে রাত্তির নামে যেন তাড়াহুড়ো করে। কিছু হাসপাতাল। সেখানে রাত্তির অন্যরকম। সামনে প্রতীক্ষারত উৎকণ্ঠিত কিছু মুখ। রাত ঘন হয়ে এলে
না, ইনি ডাক্তার নন। ডাক্তারদের ভোটে ‘ভোটাধিকার’ প্রয়োগ করতে এসেছিলেন আজ। আমাদের যথাসাধ্য প্রতিবাদ সত্ত্বেও কয়েকশো ব্যালট জমা করেই গিয়েছেন। ধরা পড়ার মুহূর্তে এমন করে
শাসকদলের মন্ত্রী-সান্ত্রীদের ঘর থেকে কোটি কোটি টাকা উদ্ধার হতে দেখেছি – এমনকি তাঁদের বান্ধবী বা দেহরক্ষীদের ঘর থেকেও – আর এবারে দেখছি শাসকদলের চিকিৎসকদের হাতে
ভুল দুরকমভাবেই করা যেতে পারে। Act of commission বা act of omission. মানে, সরাসরি ভুল কাজটা করলেন। বা সঠিক কাজটা করলেন না এবং ভুলটা ঘটতে
পাপীতাপীদের কপালে একটু স্বস্তি জুটছে ইদানীং। উপরমহল থেকে যেই হুকুম আসছে, ব্যাটাদের ফুটন্ত তেলের কড়াইয়ে বছরকয়েক ডিপ ফ্রাই করে আন, অমনি স্টাফেদের তরফে উত্তর আসছে
ফাঁকা ব্যালট বিষয়ে একটি কাল্পনিক সংলাপ – শুনেছেন, বাজারে খবর, রামপুরহাট মেডিকেল কলেজের প্রিন্সিপাল নাকি অধ্যাপক-চিকিৎসকদের ফাঁকা ব্যালট জমা করতে বলছেন? – স্বাভাবিক। ওঁকেও তো
চিকিৎসাব্যবস্থার ভালোমন্দ নিয়ে স্বপ্নময়বাবু এই প্রথম ভাবতে বসলেন, এমনও নয়। এর আগে তাঁর একখানা চমৎকার বই রয়েছে – ‘চার ডাক্তার’ – চারখানা নাতিদীর্ঘ আখ্যান জুড়ে
সময়ের সঙ্গে সঙ্গে চিকিৎসা-ভাবনার বদল নিয়ে বাংলা সাহিত্যে একটি মাস্টারপিস ইতোপূর্বে লিখিত। আরোগ্য নিকেতন। কিন্তু সে মূলত ক্ষয়িষ্ণু এক চিকিৎসাপদ্ধতির বিপরীতে আধুনিক চিকিৎসাবিজ্ঞানের জয়ের কাহিনি।
গতকাল বিকেলের আগে কাউন্সিল অফিসের দিকে যেতে পারিনি। বিকেলের দিকে যাওয়াটাও সহজ ছিল না, কিন্তু না যেতে পেরে মনটা বড় ছটফট করছিল। অগত্যা… ভাগ্যিশ গেছিলাম!
এ বছর সাহিত্যে নোবেল পুরস্কার ঘোষণার পরপরই খবর ঘোরাফেরা করছিল, তারাশঙ্কর বন্দ্যোপাধ্যায়ের নাম নাকি নোবেল সাহিত্য পুরস্কারের জন্য বিবেচিত হচ্ছিল, বছর পঞ্চাশেক আগে। কিন্তু তারাশঙ্কর
রাত বারোটা বাজতে চলল। ক্যালেন্ডারে তারিখ বদলে যেতে আর সামান্যই বাকি। আমরা আছি। মেডিকেল কাউন্সিলের সামনে। পাহারায়। অতন্দ্র প্রহরী ইত্যাদি শব্দবন্ধ ব্যবহার করা-ই যেত, কিন্তু
আগামী দিনকয়েক (মানে ভোটের দিনগুলো এবং ভোটগণনার দিনগুলো) পালা করে চব্বিশ ঘণ্টা মেডিকেল কাউন্সিল অফিস পাহারা দিতে হবে। দেওয়া হবে। অনেকেই আসছেন। জনা পনের এমন
গভীর রাত। কলকাতার উপকণ্ঠে এই নগরে রাত্তির নামে যেন তাড়াহুড়ো করে। কিছু হাসপাতাল। সেখানে রাত্তির অন্যরকম। সামনে প্রতীক্ষারত উৎকণ্ঠিত কিছু মুখ। রাত ঘন হয়ে এলে
না, ইনি ডাক্তার নন। ডাক্তারদের ভোটে ‘ভোটাধিকার’ প্রয়োগ করতে এসেছিলেন আজ। আমাদের যথাসাধ্য প্রতিবাদ সত্ত্বেও কয়েকশো ব্যালট জমা করেই গিয়েছেন। ধরা পড়ার মুহূর্তে এমন করে
শাসকদলের মন্ত্রী-সান্ত্রীদের ঘর থেকে কোটি কোটি টাকা উদ্ধার হতে দেখেছি – এমনকি তাঁদের বান্ধবী বা দেহরক্ষীদের ঘর থেকেও – আর এবারে দেখছি শাসকদলের চিকিৎসকদের হাতে
ভুল দুরকমভাবেই করা যেতে পারে। Act of commission বা act of omission. মানে, সরাসরি ভুল কাজটা করলেন। বা সঠিক কাজটা করলেন না এবং ভুলটা ঘটতে
পাপীতাপীদের কপালে একটু স্বস্তি জুটছে ইদানীং। উপরমহল থেকে যেই হুকুম আসছে, ব্যাটাদের ফুটন্ত তেলের কড়াইয়ে বছরকয়েক ডিপ ফ্রাই করে আন, অমনি স্টাফেদের তরফে উত্তর আসছে
ফাঁকা ব্যালট বিষয়ে একটি কাল্পনিক সংলাপ – শুনেছেন, বাজারে খবর, রামপুরহাট মেডিকেল কলেজের প্রিন্সিপাল নাকি অধ্যাপক-চিকিৎসকদের ফাঁকা ব্যালট জমা করতে বলছেন? – স্বাভাবিক। ওঁকেও তো
চিকিৎসাব্যবস্থার ভালোমন্দ নিয়ে স্বপ্নময়বাবু এই প্রথম ভাবতে বসলেন, এমনও নয়। এর আগে তাঁর একখানা চমৎকার বই রয়েছে – ‘চার ডাক্তার’ – চারখানা নাতিদীর্ঘ আখ্যান জুড়ে
সময়ের সঙ্গে সঙ্গে চিকিৎসা-ভাবনার বদল নিয়ে বাংলা সাহিত্যে একটি মাস্টারপিস ইতোপূর্বে লিখিত। আরোগ্য নিকেতন। কিন্তু সে মূলত ক্ষয়িষ্ণু এক চিকিৎসাপদ্ধতির বিপরীতে আধুনিক চিকিৎসাবিজ্ঞানের জয়ের কাহিনি।
আমাদের লক্ষ্য সবার জন্য স্বাস্থ্য আর সবার জন্য চিকিৎসা পরিষেবা। আমাদের আশা, এই লক্ষ্যে ডাক্তার, স্বাস্থ্যকর্মী, রোগী ও আপামর মানুষ, স্বাস্থ্য ব্যবস্থার সমস্ত স্টেক হোল্ডারদের আলোচনা ও কর্মকাণ্ডের একটি মঞ্চ হয়ে উঠবে ডক্টরস ডায়ালগ।
Editorial Committee:
Dr. Punyabrata Gun
Dr. Jayanta Das
Dr. Chinmay Nath
Dr. Indranil Saha
Dr. Aindril Bhowmik
Executive Editor: Piyali Dey Biswas
Shramajibi Swasthya Udyog
HA 44, Salt Lake, Sector-3, Kolkata-700097
নীচে Justori র মাধ্যমে আমাদের সদস্য হন – নিজে বলুন আপনার প্রশ্ন, মতামত – সরাসরি উত্তর পান ডাক্তারের কাছ থেকে